ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন, গৃহীত হয়নি রেলমন্ত্রী মমতার পদত্যাগ পত্র!

বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার দায় কার? ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সে সম্পর্কে কোনও শব্দ খরচ করেনি কেন্দ্র বা রেল মন্ত্রক। কিন্তু অতীত ইতিহাস বলছে, রেল দুর্ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে অনেক রেলমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আবার অনেকে ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তালিকায় রয়েছে।

কী কারণে বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। চালকের গাফিলতি? নাকি টেকনিক্যাল সমস্যা? কারণ যাই হোক দায় কিন্তু বর্ষায় রেলমন্ত্রক এবং ঘুরে গিয়ে রেলমন্ত্রী উপরেই। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কার্যকরী না হওয়ার অভিযোগ তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৎকালীন রেন মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলমন্ত্রীকে পাশে নিয়েই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী অভিযোগ করেন, অ্যান্টি কোলিশন ডিভাইস কাজ করেনি। শুধু তাই নয়, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যে সুরক্ষা ব্যবস্থা করেছিলেন, তাও ব্যবহার করেনি। অর্থাৎ রেলের গাফিলতি সামনে চলে আসছে। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে একাধিক ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরে ইস্তফা দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রীরা। ২০১৭-তে ৪ দিনের মধ্যে ২টি দুর্ঘটনার পরে দায়িত্ব নিয়ে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। কিন্তু, মোদি তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। তবে শুধু নরেন্দ্র মোদিই নন, আগেও রেলমন্ত্রীদের ইস্তফা দেওয়া থেকে বিরত করেছেন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপায়ীও।

২০০০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেল দুর্ঘটনার পর ইস্তফা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী। পঞ্জাবে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪৩ জনের, আহত হন ১৪৫ জন। যে ঘটনার পরই ইস্তফা দিয়েছিলেন মমতা। যদিও সেই সময় তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়নি।

আরও পড়ুন- Hooghly: রবিবার মাহেশের ৬২৭ তম ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রা উৎসব

এখন প্রশ্ন হচ্ছে অশ্বিনী বৈষ্ণব কি বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার দায়ের স্বীকার করে ইস্তফা দেবেন? আর মোদি সরকার কি সেই ইস্তফা গ্রহণ করবে? নাকি সামনের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে নরেন্দ্র মোদি নিজেই অশ্বিনীকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ দেবেন? সেটা জানা এখন সময়ের অপেক্ষা।