করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ জানিয়েছেন। দুর্ঘটনার রাতে বাহানগায় সহকারি স্টেশন মাস্টারের দায়িত্বে ছিলেন এস বি মোহান্তি। ঘটনার দিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল? সাংবাদিকদের প্রশ্নে চাঞ্চল্যকর উত্তর দিলেন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছিল দুর্ঘটনার রাতে?
বাহানগার সহ স্টেশন মাস্টার এস বি মোহান্তি জানা,“ইন্টারলকিং এ কোনও সমস্যা ছিল না। প্যানেলে তো কিছুই সমস্যা ছিল না। আমি জানি না কীভাবে দুর্ঘটনা হল। প্যানেলে কিছু নোটিশ হয়নি। আমার তরফ থেকে কোনও ভুল ছিল না। আমাদের যা ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ম রয়েছে, তা অনুযায়ী কাজ হয়েছে। প্যানেলে অস্বাভাবিকতা নজরে আসেনি। সিগন্যাল যথাযথই ছিল।”
আরও পড়ুন:দুর্ঘ*টনার রেশ কাটিয়ে ধীর গতিতে বালেশ্বরের রেললাইনে ফের শুরু যাত্রা

এদিকে, রবিবার রেল বোর্ডের সদস্য (অপারেশন) জয়া বর্মা সিন্হা জানান, ‘‘চালক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা ঠিক আগে আপ লাইন লাইনের সিগন্যাল সবুজ ছিল। তার পরেই গাড়ি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে যা মনে হচ্ছে, তাতে চালকের কোনও দোষ নেই।’’ জয়া আরও বলেছেন, ‘‘যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের (বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস) টিটি জানিয়েছেন, পিছন থেকে তিনি বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। তখন বোঝেননি কী হয়েছে। এ ১ কোচের পর দু’টি কামরা এবং গার্ডের কামরা ছিল। শেষের দু’টি কামরা বেলাইন হয়।’’
সূত্রের খবর, মোহান্তির বয়ানের সঙ্গে করমণ্ডলের চালকের কথা মেলানো হবে। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পরে ভুবনেশ্বরের রেল সদনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রেলমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ঘটনার গুরুত্ব মাথায় রেখে এবং প্রশাসনের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তার ভিত্তিতে রেলওয়ে বোর্ড এই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করেছে।
বিভীষিকা কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে বাহানাগা স্টেশন। শুক্রবারের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থ হয় রেললাইন। সেগুলি মেরামতি করে দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টার পর রেললাইনের উপর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয় রেল।সোমবার সকাল থেকেই ধীর গতিতে প্রায় সব ট্রেন চলাচল করা শুরু করেছে।