বেসরকারি স্কুলে অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি নিয়ে ফের কড়া বার্তা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা বিক্রয়যোগ্য পণ্য হতে পারে না। ইচ্ছে মতো টাকায় শিক্ষা বিক্রি হতে পারে না। তাঁর মত, বেসরকারি স্কুল গুলির ওপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। যদিও বেসরকারি স্কুলে ফি স্ট্রাকচার কী হবে তা রাজ্য সরাসরি ঠিক করে দিতে পারে না। তবে বিচারপতি মঙ্গলবার সাফ বলেন, কোথাও এটাও বলা নেই যে রাজ্যের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বেসরকারি স্কুলের ওপর।
কিছুদিন আগে এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, অনেক বেসরকারি স্কুল ফি বাড়ানোর আগে সরকারি অনুমতি নেয় না। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য ছিল, স্কুল মিষ্টির দোকান নয় যে ইচ্ছা মতো দাম নির্ধারণ করা হবে। বলাই বাহুল্য, এখনও বিচারপতি এই বিষয়ে কড়া অবস্থান বজায় রেখে চলেছেন।এদিন বিচারপতি বসু বলেন, রাজ্যের ২০১২ সালের আইন বলছে বেসরকারি স্কুলে রাজ্যের ‘কনসেন্ট’ থাকতে হবে। আগামী ২১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত,শহরের দু’তিনটি নাম করা স্কুলের অস্বভাবিক ফি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, কী নিয়মে ফি বাড়াতে পারে বেসরকারি স্কুল, তা আগামী শুনানিতে জানাতে হবে সব পক্ষকে। আর রাজ্যের দাবি ছিল, বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়, কিন্তু তারা নেয় না, তাই রাজ্যও ফি বৃদ্ধির বিষয়ে কিছু জানতে পারে না।