বিরোধীরা ভোটে নেই কোর্টে! “নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা”, কটাক্ষ কুণালের

রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া বিরোধীদের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নাকে কান্নার কড়া প্রতিক্রিয়া দদিচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ

পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছরে এক অদ্ভুত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। বিরোধী দলগুলি মাঠে থাকে না, ভোটে থাকে না, থাকে শুধু কোর্টে। একদিকে দেউলিয়া বিজেপির এজেন্সি নির্ভর প্রতিহিংসার রাজনীতি, অন্যদিকে শূন্য হয়ে যাওয়া বাম-কংগ্রেসের কুৎসা, অপপ্রচার। তারই মাঝে ঘোষণা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিরোধীরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানাবেন। পাশাপাশি মনোনয়নপত্র যাতে অনলাইনে পেশ করা যায়, সেই বন্দোবস্ত করুক রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই আর্জিও জানানো হবে মামলায়। মনোনয়ন জমার দিনও বাড়ানোর আর্জি জানাতে পারেন তিনি। আজ, শুক্রবারই প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইবেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তো থাকছেই, সেইসঙ্গে রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েতে ভোটের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। গতকাল পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট ছিল, “গণতন্ত্র খুন হয়েছে পশ্চিমবাংলায়। ব্লক, জেলা বা রাজ্যস্তরে কোনও সর্বদল বৈঠক ছাড়াই এই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এক দফার নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি।”

শুক্রবার আরও দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুটি মামলাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলো পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

এদিকে বিরোধীদের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নাকে কান্নার কড়া প্রতিক্রিয়া দদিচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একটি টুইটে কুণালের কটাক্ষ, “কবে কোথায় সর্বদল বৈঠক করে ভোট ঠিক হয়েছে?বিধানসভায় করোনাকালে আট দফা, কোন বৈঠক হয়েছিল? বিরোধীদের প্রার্থী নেই, সংগঠন নেই; আছে শুধু মিডিয়া আর সোশাল মিডিয়া, তাতেই শোকসভা। নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।”

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই এটা যেন মামার বাড়ির আবদার। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা আইন হতে পারে না। যদি এরাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করতে হয়, তবে দেশে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন অর্থাৎ পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমেই করতে হবে। অন্য রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে না, আর পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হলে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে না এই কথা বলা হবে-এটা কি মামার বাড়ির আবদার নাকি? যদিও নির্বাচন কমিশনার দেখলাম কোনও কিছুকেই উড়িয়ে দেননি।”

একুশের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, “আজ যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীতে ভোটের কথা বলছেন, একুশ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা কী করেছেন? করোনা কালে আট দফায় নির্বাচন হয়েছে। বারণ করা হয়েছিল যে সংক্রমণ বাড়তে পারে তারপরও তা শোনা হয়নি। সে সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী শুধু ছিল না, ইচ্ছেমতো অফিসার বদলির পরেও তো গোহারা হেরেছে। সুতরাং সেনাবাহিনী থাকুক, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক, পুলিশ থাকুক, ফলাফল তো জানা তৃণমূল জিতবে বিরোধীরা হারবে। এর মধ্যে নতুনত্ব কী আছে।”

আরও পড়ুন:ওভারটেক করতে গিয়ে ডাম্পারের সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সং.ঘর্ষ! আ.হত ৪০

 


 

 

Previous articleওভারটেক করতে গিয়ে ডাম্পারের সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সং.ঘর্ষ! আ.হত ৪০
Next articleপঞ্চায়েত ভোটের দা*মামা বাজতেই দেওয়াল লিখনে নেমে পড়লেন সাংসদ অপরূপা