পঞ্চায়েত নিয়ে দিলীপ-অধীর-শুভেন্দুকে তু.লোধনা কুণালের

শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের কথা যেখানে আমরা সব সময় বলছি। বিজেপি গন্ডগোল পাকাতে চাইছে

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিতর্ক তৈরির উদ্দেশ্যেই বিরোধীদের বাজার গরম করার কথা।বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘গাছে বেধে রাখার’ মতো যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর।তার আগে তিনি বলুন, প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে তার বাড়ির যে দলিল পাওয়া গেছে তার জন্য কেন তিনি গ্রেফতার হবেন না? কেন তার তদন্ত হবে না? শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

বরং দিলীপ ঘোষকে তার কটাক্ষ, শুধু এই কারণেই দিলীপ ঘোষ যেখানে যাবেন তাকেও বেধে রাখা উচিত।সিবিআইয়ের এফআইআর নেমড শুভেন্দু অধিকারী যেখানে যাবেন সেখানে তাকে বেধে রাখা উচিত।‘বেধে রেখে দেব’, ‘দেখে নেব’ এগুলো কোনও কথা হলো? শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের কথা যেখানে আমরা সব সময় বলছি। বিজেপি গন্ডগোল পাকাতে চাইছে।আসলে বিজেপি সব জায়গায় প্রার্থীই দিতে পারবে না, দিল্লির নেতাদের কাছে রাজ্যের নেতাদের এই ব্যর্থতাও ধরা পড়ে যাবে। তাই নজর ঘোরাতে এই গরম গরম কথা। এমনকী, রাজ্যে বিজেপির অন্যান্য নেতারাও তাদের অপদার্থতা, ব্যর্থতা ধরে ফেলবেন। তাই এই ধরনের উস্কানিমূলক কথা বলছেন দিলীপ ঘোষ।

শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আদালতে যে মামলা করেছেন, সেই বিষয়ে কুণালের সাফ কথা, শুভেন্দু-অধীরের কথাবার্তাতেই তাদের আঁতাতটা প্রকাশ্যে চলে আসছে।কুণালের আরও কটাক্ষ, লোক নেই জোন নেই, প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা নেই অথচ নেতা সাজার ইচ্ছা আছে ষোলআনা। আর যখন পরীক্ষা সামনে চলে এসেছে, তখন তা পেছনোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে অধীর চৌধুরী,শুভেন্দু অধিকারী। বরং কুণালের চ্যালেঞ্জ, সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটা সিটের প্রার্থী তালিকা আদালতে জমা দিন! জুলাই মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এটা কারও জানা ছিল না?

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অধীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে কুণালের কটাক্ষ, অধীর চৌধুরী রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসের একজন ব্যর্থতম সভাপতি। সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে নিজের পদ রাখার চেষ্টা করছেন।হয় তিনি একেবারে প্রলাপ বকছেন অথবা তার সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সিবিআই-ইডির গোপন আঁতাত রয়েছে। হয় প্রলাপ বকছেন, আর না হলে বিজেপির দালালি করছেন।বাংলার মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবেন। এমন কোনও পরিবার দেখাতে পারবেন না যারা এই রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সুযোগ পান না।

Previous articleরিপোর্ট সন্তোষজনক নয়! পুর নিয়োগ দু.র্নীতি মামলায় ফের হাই কোর্টের ভ.র্ৎসনার মুখে ইডি
Next articleস্কুলপাঠ্যে গৈরিকীকরণ: প্রতিবাদে নাম প্রত্যাহারের দাবি NCERT-র দুই উপদেষ্টার