স্কুলপাঠ্যে গৈরিকীকরণ: প্রতিবাদে নাম প্রত্যাহারের দাবি NCERT-র দুই উপদেষ্টার

কোনও সঙ্গত কারণ ছাড়াই ইচ্ছেমতো স্কুল পাঠ্য থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কখনও ইতিহাসের মুঘল যুগ, বিজ্ঞানের ডারউইনের তত্ত্ব তো কখনও আবার গণতন্ত্রের অধ‌্যায়। আর এই ধরনের প্রস্তানের পিছনে রয়েছে এনসিইআরটি(NCERT)। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা রাষ্ট্রীয় শিক্ষা অনুসন্ধান এবং প্রশিক্ষণ পরিষদের এহেন নির্দেশকে কেন্দ্র(Central) করে দেশজুড়ে তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ স্বরূপ এনসিইআরটি থেকে অব্যহতি চাইলেন ২০০৬-০৭ সালে নবম থেকে দশম শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ের সিলেবাস তৈরির মুখ্য উপদেষ্টা পদে থাকা সুহাস পালসিকার(Suhas Palsikar) ও যোগেন্দ্র যাদব(Yogendra Yadav)। অব্যহতির আবেদন জানিয়ে কাউন্সিলের কাছে চিঠিও লিখেছেন তাঁরা।

এনসিইআরটি-র ডিরেক্টর দীনেশ সাকলানিকে লেখা চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, “আমাদের সঙ্গে কখনই আলোচনা করা হয়নি বা এই পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে জানানো হয়নি। এনসিইআরটি যদি এই বিষয় কাটছাঁট এবং মুছে ফেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে থাকে, আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে আমরা এই বিষয়ে তাদের সাথে সহমত নই।” পাশাপাশি চিঠিতে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা আর লিখেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও টেক্সটেরই অভ্যন্তরীণ যুক্তিজাল থাকে। এভাবে নির্বিচারে সব মুছে দিলে সেই টেক্সটের নির্যাসই যেন বিঘ্নিত হয়। ক্ষমতা কাঠামোকে খুশি করা ছাড়া এর মধ্যে আমরা আর কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।”

সম্প্রতি বারবার সিলেবাস থেকে একাধিক বিষয় বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে এনসিইআরটি। কখনও মুঘল যুগ, কখনও গণতন্ত্র, আবার কখনও ডারইউন-এর তত্ব সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বিরোধীদের তরফে আগেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল, স্কুল স্তর থেকে গৈরিকীকরণে তৎপর হয়েছে মোদি সরকার। যার ফলে পাঠ্যপুস্তক থেকে বিভিন্ন বিষয় বাদ দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির আদর্শের সঙ্গে যে যে বিষয় মিলছে না সেগুলোকেই নির্বিচারে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে।

Previous articleপঞ্চায়েত নিয়ে দিলীপ-অধীর-শুভেন্দুকে তু.লোধনা কুণালের
Next articleজামিন পেতে ম.রিয়া কেষ্ট কন্যা! নিম্ন আদালতের পর এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ সুকন্যা