মন্দিরের মধ্যে ঢুকতে চাওয়ায় পুণ্যার্থীদের উপর বেলাগাম লাঠিচার্জ করল পুলিশ(Police)। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরোধীদের অভিযোগ মহারাষ্ট্রে(Maharastra) ঔরঙ্গজেবের শাসন চলছে। যদিও পুণ্যার্থীদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস(Devendra Fadravis)।

ঘটনার সূত্রপাত একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে। অন্তত ৫০০ জন পুণ্যার্থী আলান্দির শ্রীক্ষেত্র মন্দিরে জমায়েত হয়েছিলেন। সেখান থেকে পান্ধারপুরের মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, মাত্র ৭৫ জনকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। এই কথা জানতে পেরেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান পুণ্যার্থীরা। সূত্রের খবর, সেই সময়ে ভিড় হঠাতেই লাঠি চালায় পুলিশ। তবে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারের তরফে জানানো হয়, ‘গত বছর এই অনুষ্ঠানের সময়ে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেটা আটকাতেই এবার খুব কম পুণ্যার্থীকে মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্তত ৫০০ জন মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করেন, তখনই বাধা দেয় পুলিশ। ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও।’

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিব সেনা(Shiv Sena) সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, “নিজেদের হিন্দুত্ববাদী বলে দাবি করা বিজেপি সরকারের মুখোশ খুলে পড়ে গেল। ঔরঙ্গজেব আর এই সরকারের আচরণে কোনও তফাত আছে কি? মহারাষ্ট্রে আসলে মুঘলদের পুনর্জন্ম হয়েছে।” অন্যদিকে, এনসিপি (NCP) নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে বলেন, “বহুদিন ধরে এই মন্দিরে উপস্থিত হচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। কিন্তু তাঁদের উপরে লাঠি চালানোর মতো ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি। এই সরকারকে ধিক্কার।”
