মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না বিরোধীরা এই অভিযোগ তুলে ফের সরব হল বিজেপি(BJP)। পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মীদের এনে জড়ো করা হল কমিশন অফিসের সামনে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) হুঁশিয়ারি দিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন না দিতে পারলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনের থেকে উঠবেন না। যদিও বিজেপির অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করা হল তৃণমূলের(TMC) তরফে। তথ্য দিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হল রাজ্যের শাসকদলের চেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিরোধীরা। যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কমিশন অফিসের সামনে বিজেপির এই নাটকের নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কুদেব পণ্ডা।

মনোনয়ন পর্বে (Nomination) বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বসিরহাট থেকে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বাসে করে সুকান্ত মজুমদার আসেন নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে। এখানে জমায়েত করা হয় বিজেপির তরফে। পুলিশ বাধা দিলে চূড়ান্ত উত্তেজনা তৈরি হয় সেখানে। এখানে সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বাংলায় যতদিন এই সরকার আছে কোনওদিনই কোনও নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে না। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানান সুকান্ত মজুমদার। কমিশনারও তাঁকে আশ্বাস দেন, যাঁরা মনোনয়ন দিতে পারেননি তাঁদের জন্য আগামিকাল নির্বিঘ্নে মনোনয়নের ব্যবস্থা করবেন। তারপরও কমিশন অফিসের সামনে নাটক জারি রাখে বিজেপি। এই ঘটনার বিরোধিতায় সরব হয়েছে রাজ্য সিপিএম। এদিন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কমিশন অফিসের সামনে নাটক করছেন বিরোধী দলনেতা।”

অন্যদিকে বিজেপির মনোনয়ন জমা দিতে না পারার অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “এবার যথেষ্ট ভালো মনোনয়ন দিয়েছে বিরোধীরা, তাহলে কীভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ৮০ হাজার আসনে বিরোধীদের মনোনয়ন, ১০ হাজার তৃণমূলের। কাউকে মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়নি। এরপরও বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে কোনও অসুবিধা হলে আমাদের জানাক।”
