Friday, December 19, 2025

যার হাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা সেই প্রার্থী: নির্দলদের ভবিষ্যৎ বাতলে দিলেন অভিষেক

Date:

Share post:

“দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ চালাবে তাঁদের কোনও ভাবে বরদাস্ত করা হবে না। দলীয় শৃঙ্খলার উর্ধ্বে কেউ নয়।” দল থেকে টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো প্রার্থীদের ঠিক এই ভাষাতেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, এই সব ‘বেইমানদের’ আর কোনও দিন দলে নেওয়া হবে না।

শুক্রবার কাকদ্বীপে নবজোয়ার কর্মসূচির শেষ দিনের জনসভা থেকে বিক্ষুব্ধদের বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে যারা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, “তৃণমূলের ঝাণ্ডা যার হাতে থাকবে সেই তৃণমূলের প্রার্থী। যদি কেউ দলীয় শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ায়, তবে স্পষ্টভাবে বলছি পার্টির সঙ্গে যে বেইমানি করবে যতদিন তৃণমূল থাকবে ততদিন তাদের দলে নেওয়া হবে না। দলীয় শৃঙ্খলার উর্ধ্বে কেউ নয়।” তিনি আরও বলেন, আগামী দিন সর্বত্র জোড়াফুলের প্রার্থীকে, মা মাটি মানুষের প্রার্থীকে ঘাসের উপর জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবেন।

এর পাশাপাশি গত ৬০ দিন ধরে চলা নবজোয়ার কর্মসূচি প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “এই নবজোয়ার যাত্রার শুরুতে অনেকে অনেক কিছু বলেছিল। কিন্তু আমরা ২ মাস এই কর্মসূচি করে তাঁদের জবাব দিয়ে দিয়েছি। একদিন সিবিআই নোটিস দিয়েছিল যাতে তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা পণ্ড করা যায়। সিবিআই যত নোটিস দিয়েছে, তৃণমূলের নবজোয়ার জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা, যত আঘাত, তত শক্ত।” একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “এই ৬০ দিনে বৃষ্টিতে ভিজেছি গরমে ঘেমেছি কিন্তু থামিনি। এই ৬০ দিনে মাথা উচু করে হেঁটেছি কিন্তু বহিরাগতদের কাছে মাথা নত করিনি। এই ৬০ দিন হাতে জোড়া ফুলের পতাকা নিয়ে হেটেছি, অস্ত্র নিয়ে নয়। এই ৬০ দিনে রক্ত দান করেছি, ধর্মের নামে দাঙ্গা করে রক্ত নেইনি। আপনারা যেভাবে আমাদের ভালবাসা দিয়েছেন তাতে আমরা চির কৃতজ্ঞ।”

এছাড়াও পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৮০’র দশকে, ৯০-এর দশকে কীভাবে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হত আমরা দেখেছি। সিপিএম সুপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসকে বাংলার ঢুকিয়ে দিয়ে গেছিল। তাঁর ইতি টানতে আমরা নবজোয়ার ও গ্রামবাংলার মতামত করেছি। আজ জেলাপরিষদে প্রায় ১০০ শতাংশ মনোনয়ন হয়েছে। এটাই গনতন্ত্র, যা আমরা উদ্ধার করে মানুষকে তাঁর অধিকার ফিরিয়েছি যা সিপিএম হরণ করেছিল। ওরা বলতে পারবে না আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারিনি। আপনারা তথ্য পরিসংখ্যান দেখুন।” তিনি আরও বলেন, এই ৬০ দিনে আমরা কোনও হোটেলে গিয়ে আরাম করিনি। মানুষের মাঝে গিয়ে তাঁদের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করেছি।

spot_img

Related articles

জুবিন-মৃত্যুতে খুনের তত্ত্ব ওড়ালো সিঙ্গাপুর: পুলিশি তদন্তে প্রকাশ

শিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ তুলে এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে অসমের বিজেপি শাসিত প্রশাসন। যার মধ্যে...

স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্পে রাজ্যে আরও ২৩০ কোটি টাকা খরচ, বেশ কিছু অর্থ দেবে রাজ্য

স্বচ্ছ ভারত মিশন (Swachh Bharat Mission) প্রকল্পে রাজ্যে (State) আরও ২৩০ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে। পঞ্চায়েত দফতর...

ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা, কমিশনকে নিশানা ব্রাত্যর

শিক্ষকদের বিএলওর কাজে যুক্ত করে পঠন-পাঠনে এমনিই ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে, সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই ওই...

দু-মলাটে প্রকাশ হল তৃণমূল সরকারের দেড় দশকের রিপোর্ট কার্ড ‘উন্নয়নের পাঁচালি’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উদ্বোধন করেছিলেন আগেই। শুক্রবার বই আকারে প্রকাশিত হল তৃণমূল সরকারের (TMC Government) দেড়...