রিলকে হার মানাল রিয়েল লাইফ। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যা শুনে বিশ্ববাসীর চোখ রীতিমতো কপালে ওঠার মতো। সাধারণত সিনেমার পর্দায় এমন ঘটনা দেখা যায় কিন্তু এই গল্প সিনেমাকেও হার মানাবে। ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে বাড়ির একমাত্র ছেলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান (Funeral) চলছিল। সকলেই শোকে স্তব্ধ। এমন সময় আচমকাই বাড়ির অদূরে একটি মাঠে নামল হেলিকপ্টার (Helicopter)। আর সেই হেলিকপ্টারের দরজা খুলে নেমে এলেন সেই মৃত ছেলে। তারপর সটান পায়ে হেঁটে ঢুকলেন নিজের বাড়িতে। বিষয়টি দেখে উপস্থিত সকলেরই ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। সবাই ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন। সবাই ভাবছেন এ কীভাবে সম্ভব?

জানা গিয়েছে, ওই ‘মৃত’ ব্যক্তির নাম ডেভিড বার্টেন (David Barten)। বছর ৪৫-র ব্যক্তি বেলজিয়ামের (Belgium) বাসিন্দা। ডেভিড পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমকে (Social Media)। তবে ডেভিডের সঙ্গে কিছু দিন ধরেই তাঁর বাবা-মায়ের মতবিরোধ চলছিল। এরপরই ডেভিডের মনে হয় তিনি পরিবারের কাছে ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছেন। আর সেই কথা ভেবেই বড় সিদ্ধান্ত নেন ডেভিড। এরপরই মারা যাওয়ার নাটকটি করেন। আর যেমন ভাবা তেমন কাজ। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে বন্ধুকে দিয়ে খবর রটিয়ে দেন তিনি। ডেভিডের এই মিথ্যা মৃত্যুর খবর বাড়িতে এসেও পৌঁছয়।

পরে ডেভিডের বন্ধুরা পরিবারকে জানান, পথ দুর্ঘটনায় দেহ একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। আর সেকারণে তাঁকে চেনার উপায় নেই। এরপরই তাঁর দ্রুত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন বাবা-মা। নিয়মরক্ষা করতে আয়োজন করা হয় শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের।এরপরই নিয়মরীতি মেনে শ্রাদ্ধের কাজ যখন শেষের পথে, তখনই সশরীরে সেখানে উপস্থিত হন ডেভিড। আর আচমকা ‘মৃত’ ডেভিডকে দেখে সকলে চমকে যান। তবে ডেভিড সবাইকে ভয় পেতে বারণ করেন। গোটা ঘটনাই যে তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত সেটা সকলকে বলেন ডেভিড।

তবে এই পুরো বিষয়টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিয়ো করা হয় এবং পরে সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়। মুহূর্তে ভাইরাল হয় ভিডিয়োটি। তবে যে কারণে এতকিছু করলেন ডেভিড, তা ঠিক কতখানি পূরণ হল সে কথা অবশ্য জানা যায়নি।
