নন্দীগ্রামে বহু আসনে প্রার্থী নেই বিজেপির! শুভেন্দু কি তাহলে সত্যিই লোডশেডিং করে জিতেছেন?

ভোটের আগেই নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে একাধিক আসনে জয় হাসিল করল তৃণমূল। বিরোধী কোনও প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওইসব আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

কথায় আছে ফাঁকা কলসীর আওয়াজ বেশি। মুখে বড় বড় কথা। কিন্তু কাজের বেলায় লবডঙ্কা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) জন্য এই বিশেষণগুলি প্রযোজ্য। বিধানসভায় (Assembly) নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে তিনি লোডশেডিং করে জিতেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে এসে তা কার্যত প্রমাণ হয়ে গেল। নিজে মিছিল করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন করালেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু তাঁর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে সব আসনে প্রার্থী দিতে ব্যর্থ। আসলে মুখে বড় বড় ভাষণ দিলেও জনসমর্থন নেই দলবদলু এই বিজেপি নেতার।

ভোটের আগেই নন্দীগ্রাম সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে একাধিক আসনে জয় হাসিল করল তৃণমূল। বিরোধী কোনও প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওইসব আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সাংগঠনিক দুর্বলতায় বিজেপি, সিপিএম কিংবা কংগ্রেস প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেনি। সেই সুবাদে ভোটের আগেই জয়ের উল্লাস দেখা যায় নন্দীগ্রামের কালীচরণপুর, রামনগরের বাধিয়া, এগরার জেড়থান এবং ময়নার তিলখোজা পঞ্চায়েতের মোট সাতটি বুথে। এবার মনোনয়ন চলাকালীন কোনও জায়গায় বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। বিরোধীরা নিশ্চিন্তে মনোনয়ন জমা করেছে। কিন্তু, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি।

একনজরে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নন্দীগ্রামে বিজেপির যেভাবে ভরাডুবি

(১) নন্দীগ্রাম-১ নং ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৮৫। যার মধ্যে ৬৬টি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি।

(২) পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৩০টি। যার মধ্যে ৭টি আসনে প্রার্থী দিতে গেরুয়া শিবির।

৩) নন্দীগ্রাম-১ নং ব্লকের কেন্দেমারি পঞ্চায়েতের গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি।

(৪) একইভাবে কালীচরণপুরে ১৭টি আসনের মধ্যে ১০টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনজন তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

(৫) দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭টির মধ্যে ৮টিতে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে।

(৬) সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে ৮টিতে বিজেপি, মহম্মদপুরে ১৭ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি।

(৭) অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের ১৭টির মধ্যে ১১ টি এবং ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫টি আসনের মধ্যে ২৩টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি।

(৮) গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টির আসনের মধ্যে মাত্র ৭টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছে বিজেপি।