ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম! আটকে বহু পর্যটক, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ

তবে সিকিম সরকারের তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, বর্তমানে ৩,৪৭৫ জন পর্যটক উত্তর সিকিমের বিভিন্ন হোমস্টে এবং হোটেলে আটকে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে।

ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম (North Sikkim)। বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। আর এমন আবহাওয়ার (Weather) জেরে বেড়াতে গিয়ে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পর্যটকরা (Tourist)। ইতিমধ্যে গ্যাংটক (Gangtok) থেকে উত্তর সিকিমের জাতীয় সড়কের (National Highway) বিস্তীর্ণ অংশ বন্ধ হয়ে পড়েছে। আর আচমকা এমন পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছেন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি পর্যটক। আর উত্তর সিকিমের ভয়াবহ অবস্থার কারণে বাড়ছে উদ্বেগ। ভারী বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাচুং (Lachung) ও লাচেন (Lachen) এলাকা। ওই সব এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে পর্যটকেরা আটকে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তবে সিকিম সরকারের তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, বর্তমানে ৩,৪৭৫ জন পর্যটক উত্তর সিকিমের বিভিন্ন হোমস্টে (Home Stay) এবং হোটেলে (Hotel) আটকে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। তবে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে একটি কলেজের ৬০ জন পড়ুয়া আছে বলে সূত্রের খবর। সিকিম সরকারের কুইক রেসপন্স টিম, সিকিম পুলিশ, জিআরইএফ-সহ সেনারা জোরকদমে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। এদিকে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে সরকারের তরফে ১৯টি বাস এবং ৭০টি ছোট গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই মোট ১২৩ জন পর্যটককে বাস এবং ছোট গাড়ি করে গ্যাংটকের দিকে পাঠানো সম্ভব হয়েছে। তবে আটকে পড়া সব পর্যটকই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।

এদিকে নতুন করে ধস নামায় উত্তর সিকিমের পাশাপাশি ছাঙ্গু লেকেও পর্যটকদের পারমিট দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে চুংথাংয়ের কাছে পেগংয়ে আচমকাই ধস নামে। এর ফলে লাচুং, লাচেন এবং ইয়ুমথাংয়ের সঙ্গে সিকিমের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার উপর দিয়ে প্রবল গতিতে বইতে থাকে ঝর্নার জল।

আর এমন পরিস্থিতিতে সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। আটকে রয়েছে একাধিক গাড়িও। পাশাপাশি হড়পা বান এবং ধসের ফলে একাধিক জায়গায় সংযোগকারী সেতু ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে পারাপার। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় বহু রাজ্যের পর্যটকদের পাশাপাশি সেখানে প্রায় আটকে রয়েছেন ৩৬ জন বিদেশি পর্যটক। সিকিম প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৪৫টি গাড়ি এবং ১১টি মোটরবাইক আটকে পড়েছে। রয়েছেন বহু বাঙালি পর্যটকও।

 

 

 

Previous articleটানা পাঁচ বছর আইনি লড়াই শেষে চাকরি পেলেন ১৫ শিক্ষক!
Next articleমেসিকে জড়িয়ে ধরে আটক এক সমর্থক, কী করল চিনের পুলিশ