বৃষ্টিতে ব্যাহত ধ*স সরানোর কাজ, সিকিমে এখনও আটকে ৩০০ পর্যটক

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টি এবং ধসের কারণে লাচেন এবং লাচুংয়ে ২,৪০০ জন পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। চুংথাং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 

শনিবার সিকিমে আটকে প্রায় ৩,১০০ পর্যটককে উদ্ধার করা গিয়েছে।এই আটকে পড়া পর্যটকদের শনিবার উদ্ধার করেছে সিকিমের বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি। এ ছাড়া, একটি সরকারি কলেজের ৬০ জন পড়ুয়াও আটকে পড়েন সিকিমের ধসে। সিকিম সরকার উদ্ধার কাজের জন্য ২৩টি বাস এবং ২০৮টি ছোট গাড়ির বন্দোবস্ত করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টি এবং ধসের কারণে লাচেন এবং লাচুংয়ে ২,৪০০ জন পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। চুংথাং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

গত দুদিন ধরে প্রবল বর্ষনে সিকিমের একাধিক জায়গায় ধস সহ হরপা বানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সিকিমে একাধিক রাস্তা। শুধু উত্তর সিকিমেই আটকে পড়েন দেশ বিদেশের দুই হাজারেরও বেশি পর্যটক। উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং ইয়াংথাম ভ্যালির সঙ্গে বাকি এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে ধস সরানোর কাজ। বৃষ্টির কারণে সেই কাজও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জলস্তর বেড়ে রীতিমতো ফুঁসছে তিস্তা, রঙ্গিত সহ একাধিক নদী। সিকিম প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে রাতভর উদ্ধার কাজ চলে। উদ্ধারের জন্য একটি অস্থায়ী সেতু তৈরী করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সিকিম প্রশাসন আশাবাদী খুব শীঘ্র সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এদিকে পর্যটকদের খাবার দেওয়া সহ উদ্ধার কাজে এগিয়ে এসেছে বিআরও’র পাশাপাশি, সিকিম পুলিশ সহ বিভিন্ন সংস্থা।

তবে এখনও ৩০০-র বেশি পর্যটক সিকিমে আটকে আছেন বলে খবর।সিকিমে ধসের কারণে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উত্তর সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাহাড়ি রাস্তায় সারে সারে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়েছে।ওই এলাকায় অন্তত ২৩৮টি স্থানীয় ট্যাক্সি আটকে আছে।

Previous articleপিতৃ দিবসে ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা মোহনবাগানের, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
Next articleনিঃশব্দ বিপ্লব: প্রকাশ হবে অভিষেকের ৯ বছরের কাজের খতিয়ান