মালদার সুজাপুরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক পঞ্চায়েত প্রার্থী। আব্দুল মান্নান নামে ধৃত সুজাপুরের বালুপুর এলাকার বাসিন্দা।গত পঞ্চায়েত বোর্ডের সদস্যও তিনি। দিনকয়েক আগেই তিনি দলবদল করে যোগ দেন কংগ্রেসে। এবারও সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়েছেন ধৃত আব্দুল মান্নান।

কংগ্রেসের টিকিটে তিনি সুজাপুর পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও কংগ্রেসের দাবি, তাকে দলের টিকিট দেওয়া হয়নি। গতকাল খুনের ঘটনায় ছজনের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী জীবু বিবি। ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানকে কালিয়াচকের চামাগ্রাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে মালদা আদালতে তোলা হয়। ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে পুলিশি তল্লাশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন দলবদল করেন। শনিবার দুপুরে মসজিদে নমাজ পরতে গিয়েছিলেন সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জিবু বিবির স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাফা শেখ। ওই সময়ে মসজিদের কাছে স্থানীয় একটি দোকানে দলের পতাকা লাগানো নিয়ে তাঁর সঙ্গে আসানউল হক, আবদুল মান্নান-সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীর বচসা বাধে। বচসা চরমে উঠলে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে মোস্তফা শেখকে আঘাত করা হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পড়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন কংগ্রেস কর্মীরা।
রক্তাক্ত অবস্থায় মোস্তফাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
