উধাও ৮৮ হাজার ৩২ কোটি! ‘অপদার্থতা’ ঢাকতেই কী সাফাই RBI-র?

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়, সম্প্রতিই সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং প্রেস থেকে ৫০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) ভাণ্ডার থেকে আচমকাই উধাও ৫০০ টাকার নোট। দেশের অর্থভাণ্ডার থেকে রাতারাতি হাওয়া হয়ে গিয়েছে কোটি কোটি টাকা। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এমনই তথ্য জানতে চেয়ে মনোরঞ্জন রায় নামে এক সমাজকর্মী আরবিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে দাবি করা হয়, দেশের অর্থ ভাণ্ডার থেকে হারিয়ে গিয়েছে ৮৮,০৩২.৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৭৬.০৬৫ কোটি ৫০০ টাকার নোট। আর এমন তথ্য সামনে আসতেই দেশবাসীর মধ্যে স্বাভাবিকভাবে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও নিজেদের ভুল ঢাকতে আসরে নামে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। আরবিআই-র তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় ৫০০ টাকার নোট উধাও হয়ে যাওয়ার তথ্য একেবারেই ভুল।

পাশাপাশি ২০০৫ সালের ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং প্রেস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এরপরই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, প্রিন্টিং প্রেস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় হাতে যত নোট আসে, তার বিস্তারিত হিসাব থাকে। ফলে এমন অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়, সম্প্রতিই সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং প্রেস থেকে ৫০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। আরবিআই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভুল।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে আরও জানানো হয়েছে, নোট ছাপানো, সংগ্রহ ও বন্টনের গোটা প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে হয়। এর একটি কড়া প্রোটোকল বা নিয়ম রয়েছে, তা সবসময় মেনে চলা হয়। মনোরঞ্জন রায় নামে ওই ব্যক্তির করা আরটিআই (Right to Information) প্রসঙ্গ তুলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালের এপিল থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নাসিকের ছাপাখানায় ৩৭৫.৪৫০ মিলিয়ন ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল, কিন্তু এর মধ্যে আরবিআই মাত্র হাতে পেয়েছে ৩৪৫ মিলিয়ন সংখ্যক নোট। তাহলে বাকি টাকা গেল কোথায় এই নিয়েই উঠতে থাকে প্রশ্ন। এবার নিজেদের অক্ষ্মমতা ঢাকতে এবার ময়দানে নেমে সাফাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার।

এছাড়াও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে সাফাই দিয়ে আরও জানানো হয়েছে, আরবিআই নিয়মিত এই সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রকাশ করে। তাই সাধারণ মানুষ যেন ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত তথ্যের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপরই ভরসা করেন।

 

 

 

Previous article‘আদিপুরুষ’ নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রীদের, দাবি শিবসেনার
Next articleসত্যের অপলাপ করছেন রাজ্যপাল! সরকারি টাকায় পোশাক কিনলে রাজভবনে অডিট হোক: দাবি কুণালের