কানাডার গুরুদ্বারে পরপর গু*লি! মৃ*ত্যু খ.লিস্তানি নেতার

দুই অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর। গুরুদ্বারের ভেতরেই গুলি করে হত্যা করা হয় খলিস্তানপন্থী এই জঙ্গিকে। কী কারণে, কে হরদীপকে গুলি করে খুন করল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। জানা গিয়েছে হরদীপকে ২০ বারেরও বেশি গুলি করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের পাঞ্জাবি অধ্যুষিত সারে অঞ্চলে থাকত হরদীপ। বিগত কয়েকবছরে কানাডার ভ্যানকুবারে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে খলিস্তানি বিক্ষোভের নেপথ্যে ছিল এই হরদীপ।

আরও পড়ুনঃউত্তরাধিকারের লড়াই: ভেঙে যাওয়া শিবসেনায় পৃথক প্রতিষ্ঠা দিবসের আয়োজন উদ্ধব-শিন্ডের

২০২১ সালে পাঞ্জাবের জলন্ধরে এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যার ঘটনায় নাম জড়ায় হরদীপ সিং নিজ্জরের। এছাড়াও অনেক সন্ত্রাসবাদী ঘটনায় তিনি যুক্ত ছিলেন। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) হরদীপ সিং-কে ধরিয়ে দেওয়ার শর্তে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল। একই সময়ে ভারত সরকার নিজ্জরকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী’ হিসাবে ঘোষণা করে।

সম্প্রতি, ভারত সরকার ৪০ মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীর তালিকা ঘোষণা করে। সেখানেও তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জানা গিয়েছে গুরুদ্বারের কাছেই দুই সাইকেলবাহী অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী নিজ্জরকে গুলি করে পালিয়ে যায়। নিজ্জর কানাডায় শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে) এর প্রধান ছিলেন এবং খলিস্তানি টাইগার ফোর্সেরও প্রধান ছিলেন তিনি। কানাডায় বসে ভারতের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিজ্জরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কানাডার প্রশাসনকে অনুরোধ করে ভারত।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি লন্ডনে মৃত্যু হয়েছিল খলিস্তান লিবারেশন ফোর্সের প্রধান অবতার সিং খান্ডার। সে আবার বিচ্ছিনতাবাদী অমৃতপাল সিংয়ের ‘হ্যান্ডলার’ ছিল। এদিকে মৃত্যুর কারণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অবতারের অনুগামীদের অভিযোগ, ভারতীয় এজেন্সি অবতারের মৃত্যুর জন্য দায়ী। যদিও জানা গিয়েছে, অবতার ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিল এমনিতেই। প্রায় ১৪ দিন ধরে বার্মিংহামের হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে।

Previous articleউত্তরাধিকারের লড়াই: ভেঙে যাওয়া শিবসেনায় পৃথক প্রতিষ্ঠা দিবসের আয়োজন উদ্ধব-শিন্ডের
Next articleবেপরোয়া গতি! তামিলনাড়ুতে দুটি বাসের মুখোমুখি সং.ঘর্ষ, লাফিয়ে বাড়ছে মৃ.তের সংখ্যা