এর আগেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। আর জয় পেয়েছে শাসকদল। তাই পঞ্চায়েত ভোটে সুপ্রিম নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয় তৃণমূল (TMC)। মিলিটারি নামালেও চিন্তা নেই৷ রাষ্ট্রসংঘ থেকে বাহিনী আসলেও চিন্তা নেই৷ বিপুল ভোটে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশের পর এটাই শাসকদলের বক্তব্য। বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই আছে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “আমরা হাসতে হাসতে দেখছি, কী হতে চলেছে। ওরা কেন্দ্রীয় বাহিনী বুকে নিয়ে ঘুরুক। আমরা মানুষকে বুকে নিয়ে ঘুরি। হাসতে হাসতে হারাব। এমন ভাবে হারাব যাতে ওরা ভোটের ফল বেরনোর পরে মনে রাখে।” তাঁর কথায়, “২০২১ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলেও ওরা ছিল শূন্য। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তোয়াক্কা করি না৷ মানুষের ভোটে জিতব৷ তবে ত্রিপুরায় এক রায় হবে আর এখানে এক রায় হবে সেটা হতে পারে না।”

বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস-আইএসএফ-হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট দেখবে কীভাবে ওরা হারে- মন্তব্য কুণাল ঘোষের। সম্প্রতি নামখানার জনসভা থেকেও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার বিরোধীদলের জামানত জব্দ করার ডাক দিয়েছেন। মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। বেশিরভাগ অঞ্চলেই যাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দল দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দুএকদিনের মধ্যে জেলায় প্রচারে বেরিয়ে পড়বেন রাজ্য নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রচার করবেন। ফলে গ্রামবাংলা আবারও তৃণমূলের হতে চলেছে। ফল বেরোনোর পর বাংলার আকাশে সবুজ আবির ওড়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা- আশাবাদী শাসকদল।
আরও পড়ুন- চিনকে রুখতে ভারতকে ব্যবহার করছে আমেরিকা, সরব বেজিং
