পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমার পর প্রত্যাহার পর্বও শেষ হয়েছে। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে ভোট প্রক্রিয়া। জোরকদমে শুরু হয়েছে প্রচারের কাজ। সেই আবহে অনুব্রতহীন বীরভূমের দুবারাজপুর ব্লকের পদুমা গ্রাম পঞ্চত এলাকায় ১৭ নম্বর আসনে এক অদ্ভূত ঘটনা। পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু। এবং ঠিক তারপরই স্বইচ্ছায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন লক্ষ্মীদেবী। তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দুবরাজপুর ব্লকের স্থানীয় নেতৃত্ব। অর্থাৎ, বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে “বায়রন মডেল”! সম্প্রতি, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র দাবি করেছিলেন, এবার পঞ্চায়েতে বিরোধীদের কোনও কোনও প্রার্থী যদি জিতে থাকে, তাহলে ভোটের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে আসবেন। যেমন সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জেতার পর কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস তৃণমূলে চলে এসেছেন। দুবরাজপুরের লক্ষ্মী মুর্মুর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভের মধ্যে দিয়েই যেন কুণাল ঘোষের পঞ্চায়েতে “বায়রন মডেল” প্রতিফলিত হল।
আরও পড়ুন:দক্ষিণে প্রবেশ বর্ষার,আজ বৃষ্টিতে ভিজবে কোন কোন জেলা?
কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির ওই আসনে প্রথমে শিব দলের প্রার্থীরাই মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু স্কুটিনির সময়ে বাতিল হয়ে যায় তৃণমূল প্রার্থীর ফর্ম। ফলে লড়াই গিয়ে দাঁড়ায় বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে। আর মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র তোলার শেষদিনে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেয় সিপিএম। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু। এরপরই নাটকীয় মোড়। গেরুয়া আবির নয়, লক্ষ্মী মুর্মু তৃণমূলে যোগ দিয়ে সবুজ আবির বিজয় উৎসব করেন।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, লক্ষ্মী মুর্মুর ছেলে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের সক্রিয় কর্মী। বিজেপি ভুল বুঝিয়ে লক্ষ্মী মুর্মুকে প্রার্থী করে।
লক্ষ্মীর ছেলে বলেন, “বহুদিন ধরেই তৃণমূল করছি। মা ভুল বুঝে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিল। এখন বুঝতে পেরেছে দিদি না থাকলে কোনও কাজ হবে না। তাই শেষপর্যন্ত তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, লক্ষ্মী মুর্মু বলেন, বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আজ তৃণমূলে এলাম। দিদির উন্নয়নের জন্য দল ছাড়লাম। নিজের ইচ্ছেয় বিজেপি ছেড়েছি। কেউ কোনও হুমকি দেয়নি।”
