রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ ছাড়ছেন? কী জানাচ্ছেন রাজীব সিনহা

বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলার পর দ্রুত ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফিরিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পশ্চিমবঙ্গে এমন অভূতপূর্ব সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক সংকটের নজির নেই। গোটা দেশেও বিরল। শোনা যাচ্ছে, রাজভবনের বেনজির পদক্ষেপের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে সরে যেতে পারেন তিনি। তবে এ সমস্ত জল্পনাকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ রাজীব সিনহা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে কোনও তথ্যই তাঁর কাছে নেই।

আরও পড়ুন:বেনজির সাংবিধানিক সঙ্কট: গভীর রাতে রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল!

বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলার পর দ্রুত ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কমিশনার পদে রাজ্যপাল ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই নবান্ন রাজীবকে কমিশনার পদে বসিয়েছিল। এর পর রাজীবের যোগদান রিপোর্ট যায় রাজভবনে। কিন্তু সই না করেই তা ফেরত পাঠিয়ে দেন আনন্দ বোস। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন বেনজির জটিলতার মুখে। এরপর কী হতে চলেছে, কমিশনারের ভবিষ্যৎ কী? রাজ্য নির্বাচন কমিশনারই বা কী পদক্ষেপ করবেন? সেসব নিয়ে জল্পনা চরমে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজীব সিনহাকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ‘স্টেপ ডাউন’ করছেন? উত্তরে রাজীব সংক্ষেপে বলেন, “এমন কোনও তথ্য পাইনি।” এরপরই রাজীবের ইস্তফার জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।

প্রশ্ন ওঠে, এর পরেও কি কমিশনার পদে থাকতে পারবেন রাজীব? পঞ্চায়েত ভোটে কি অনিশ্চয়তা দেখা দেবে? যদিও ভোটপ্রক্রিয়ায়— মনোনয়ন জমা দেওয়া, তা প্রত্যাহার করা, এ সব পর্ব পেরিয়ে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে রাজীবের নেতৃত্বাধীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে,গত শনিবার রাজীবকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। কিন্তু ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সে দিন যাননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজ্যপালের ডাকে সাড়া না দেওয়াতেই কি জয়নিং রিপোর্ট ফেরত পাঠানো হল? জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে এক জনের নামে অনুমোদন দেওয়ার পরেও তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট এ ভাবে ফেরত পাঠানোকে ‘নজিরবিহীন’ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালদের একাংশ। সংবিধান বিশেষজ্ঞদেরও একাংশের মত, অনুমোদন দেওয়ার পর এ ভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সরাতে পারেন না রাজ্যপাল। সন্দিহান রাজনৈতিক দলগুলিও। যদিও বৃহস্পতিবার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত সংক্রান্ত তথ্য তাঁর কাছে আসেনি বলে জানালেন রাজীব।

Previous articleথামছে না অ.শান্তি! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সর্বদল বৈঠকের ডাক শাহের, ক.টাক্ষ কংগ্রেসের
Next articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে