‘অন্ধকারময় অধ্যায় ভোলা যাবে না’! জরুরি অবস্থার ৪৮ তম বর্ষপূর্তিতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদির

মোদি টুইটারে লেখেন, “জরুরি অবস্থার অন্ধকার দিন যাঁরা প্রতিরোধ করেছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। জরুরি অবস্থা আমাদের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় এক কালো অধ্যায়। সাংবিধানিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত।”

প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) জরুরি অবস্থা জারি (Emergency) নিয়ে এবার কংগ্রেসকে (Congress) বিঁধলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর সুরে সুর মেলালেন অন্য বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরাও। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই জরুরি অবস্থার ৪৮ তম বর্ষপূর্তিতে রবিবার মোদি ‘কালা দিনগুলি’র স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন সেই ২১ মাসের অবিস্মরণীয় দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেন। তাঁর কথায় জরুরি অবস্থা ছিল ভারতের ইতিহাসে এক কালা অধ্যায় যা সাংবিধানিক মানমর্যাদা, মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত। যদিও কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের কটাক্ষ, যে মোদি জরুরি অবস্থার নিন্দা করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অলিখিত জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগ গোটা ভারতের আমজনতার।

তবে আমেরিকা সফরের আগে ‘মন কি বাত’-এ অশান্ত মণিপুর নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে গর্জে উঠেছিলেন কংগ্রেস আ্মলের ‘জরুরি অবস্থা’র বিরুদ্ধে। আর রবিবার দেশে জরুরি অবস্থা জারির ৪৮তম বার্ষিকীতে ফের টুইট করে সরব হলেন মোদি এবং বিজেপির উচ্চপদস্থ নেতারা। পাশাপাশি এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেও যাঁরা জরুরি অবস্থার অন্ধকার দিন প্রতিরোধ করেছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করেন তিনি। মোদি টুইটারে লেখেন, “জরুরি অবস্থার অন্ধকার দিন যাঁরা প্রতিরোধ করেছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। জরুরি অবস্থা আমাদের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় এক কালো অধ্যায়। সাংবিধানিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপরীত।”

তবে শুধু মোদিই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করেন, ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে একটি পরিবার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। টুইট করা হয়েছে বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও। সেখানে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্দিরা গান্ধীর ছবি পোস্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি জরুরি অবস্থা নিয়ে টুইট করেছেন রাজনাথ সিং, স্মৃতী ইরানি, হরদীপ সিং পুরি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও।