দলে নির্দলদের কোনওভাবেই রেয়াত নয়! পঞ্চায়েতের আগে বীরভূমে ৩০ জনকে ব.হিষ্কার তৃণমূলের

রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সমস্ত তৃণমূল প্রার্থীদের বহিষ্কারের পথে হাঁটলেন জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী এবং বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা।

দলের নির্দেশ মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহার (Nomination) না করায় এবার কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের (TMC)। ইতিমধ্যে একের পর এক জেলায় নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় কর্মীদের বহিষ্কারের পথে হেঁটেছে দল। এবার একই পদক্ষেপ বীরভূম (Birbhum) জেলাতেও। রাজ্যে ত্রিস্তর নির্বাচন প্রাক্কালে ৩০ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করল বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি। জানা গিয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে সেই সব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সমস্ত তৃণমূল প্রার্থীদের বহিষ্কারের পথে হাঁটলেন জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী এবং বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা। এই প্রথম নয়, এর আগে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং হুগলি মিলিয়ে মোট ৫৬ জনকে বহিষ্কার করে দল।

বীরভূমের খয়রাশোল, দুবরাজপুর, মুরারই, সিউড়ি, রামপুরহাট এবং রাজনগর এই ছটি ব্লক থেকে ৩০ জন তৃণমূল কর্মী নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তবে দলগতভাবে আগেভাগেই এই সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছিল। বারবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে তারা নির্দল হয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে। নির্দল হয়ে দাঁড়ালে যে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না, তা আগেই নব জোয়ার কর্মসূচিতে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর তারপরই একাধিক জেলাতেই নির্দল প্রার্থী নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করে তৃণমূল।

পাশাপাশি মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কালীঘাটে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, যে সব তৃণমূল নেতৃত্ব দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও যাঁরা তুলছে না, তাঁদের শেষ পর্যন্ত দলে জায়গায় হবে না। আর সেই পথে হেঁটেই এবার কড়া তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।