সাম্প্র.দায়িক উস্কা.নি দিয়ে অশা.ন্তি ছড়ানো আটকাতে বকরি ঈদে কড়া নজরদারির নির্দেশ মুখ্যসচিবের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার পর্বে মধ্যেই বকরি ঈদ পালনের তোড়জোর চলছে রাজ্যে। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া কোনও রাজনৈতিক দল (Political Party) এলাকা ভিত্তিক অশান্তি থেকে সংঘর্ষ বাধাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে নবান্ন। সেই কারণেই আসন্ন ঈদে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwibedi)।

সোমবার নবান্ন (Nabanna) থেকে সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। ওই বৈঠকে ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। রাজ্যের সর্বত্র যাতে শান্তিতে ঈদ পালিত হয় সেজন্য পুলিশ (Police) প্রশাসনকে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। একই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার পর্বে যাতে নতুন করে হিংসা না ছড়ায় সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, বকরি ঈদের আগে কিছু জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে। যার মাধ্যমে ধর্মীয় বিভাজন করে ভোট পাওয়ার ষড়যন্ত্র করতে পারে কিছু লোক। এই চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। অনেক সময় অনেক ছোটখাটো ঘটনাও বড় আকার ধারণ করে। তাই কোথাও কোন রকম গোলমালের খবর পেলেই পুলিশকে সক্রিয় হতে হবে। প্রত্যেক জেলার উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা গুলোকে চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ নজরদারিরও নির্দেশ দেন তিনি।

রাজ্যে রামনবমী হিংসার স্মৃতি এখনও টাটকা। একাধিক জায়গায় হামলা ও তাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা সামলাতে বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। ভোটের আবহে বকরি ঈদকে কেন্দ্র করে যাতে একই ধরণের ঘটনার পূনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই তৎপরতা বলে খবর।

 

 

 

Previous articleটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল! হড়পা বানে লাফিয়ে বাড়ছে মৃ.তের সংখ্যা, আটকে বহু পর্যটক
Next articleডোমকলে গু.লিবিদ্ধ ৪ তৃণমূল কর্মী, অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে