ভাঙড়ে মনোনয়ন পর্বে উত্তেজনা দেখা দেয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। সেই নিয়ে শাসক-বিরোধী তুমুল চাপানউতোর চলে। একদিকে তৃণমূল (TMC) নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদিক্কি (Nawshad Siddiqi)-সহ ৬৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয় থানায়। এই ঘটনার পর বিরোধীরা নীরব থাকলেও, ক্ষমা চেয়ে নিলেন আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল (Hakimul)। তাঁর কথায়, “ভুল করে থাকলে তৃণমূল কর্মীরা করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আর করেননি। আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banejee) ভোট দিন”।

পঞ্চায়েতের ভোট প্রচারে ভাঙড়ের বামনঘাটায় একসভায় হাকিমুল ইসলামকে হাত জোড় করে বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা যদি কোনও ভুল করে থাকেন, ক্ষমা করে দিন।“ সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ। সেখানেই আরাবুল-পুত্রকে বলতে দেখা যায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু আপনাদের কাছে কোনও ভুল করেনি। যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা আপনাদের কাছে কোনও ভুল করে থাকে আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের কাছে নিজেরা ভুল স্বীকার করছি। আপনারা আমাদের ভোট দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিন। আমাদের ভুল থাকলে আপনারা ক্ষমা করে দিন। আগামী ৫ বছরের জন্য ঋণ হিসাবে আপনাদের ভোট চাইছি। আপনাদের এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করব এটা অঙ্গীকার করছি। যদি আপনাদের এলাকার উন্নয়ন না করতে পারি, পরের বার আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসব না। এটা আপনাদের কাছে কথা দিয়ে গেলাম।“

রাজ্যে সৌজন্যের রাজ্যনীতির বাতাবরণ তৈরি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই ধারা বজায় রেখেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ভুল যারই হোক মানুষের সামনে মাথা নত করতে তাঁরা পিছুপা হন না। কিন্তু সেই সৌজন্য নেই বিরোধীদের। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আইএসএফ বিধায়ককে নানা মন্তব্য করতে দেখা গেলও, দলীয় কর্মীদের তাণ্ডবের জন্য একবারের জন্যেও ক্ষমা চাইতে দেখা গেল না তাঁকে।
