১ মাসেরও বেশি সময় ধরে রণক্ষেত্র উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর(Manipur)। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে যাত্রা করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। তবে পথেই রাহুলের কনভয় আটকে দিল বিজেপি(BJP) শাসিত মণিপুর পুলিশ(Police)। কংগ্রেসের(Congress) তরফে জানানো হয়েছে, “ইম্ফল থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে চূড়াচাঁদপুর জেলার বিষ্ণুপুর এলাকায় রাহুলজির কনভয় আটকে দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি না কেন এই পদক্ষেপ।” কংগ্রেসের পাশাপাশি এই ঘটনায় সরব হয়েছে তৃণমূলও।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে পাড়ি দেন রাহুল। সাড়ে ১১টা নাগাদ পৌঁছন ইম্ফল বিমানবন্দরে। গোষ্ঠীহিংসায় দীর্ণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে দু’দিনের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। কিন্তু গোড়াতেই বাধার মুখে পড়তে হল তাঁকে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার লামকা (চূড়াচাঁদপুর), বিষ্ণুপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার কথা রাহুলের। রাতে তিনি থাকবেন মৈরাংয়ে। শুক্রবার রাজধানী ইম্ফলের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার কথা রাহুলের। যুযুধান মেইতেই জনগোষ্ঠী এবং কুকি এবং নাগা জনজাতির নাগরিক সমাজের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন তিনি। দিল্লি ফেরার আগে কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন তিনি। জাতীয় স্তরের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রাহুলই প্রথম মণিপুরে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি আদৌ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

অশান্ত মণিপুরে বিজেপি শাসিত পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডে রীতিমতো তোপ দাগেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটারে তিনি লেখেন, “মোদি-শাহের বিজেপি এখন মরিয়া হয়ে গেছে। এক মাস আগে মণিপুরে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ঠিক এক মাস পরে রাহুল গান্ধীকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না। নিশ্চিতভাবে এটাই বিজেপি সরকারের শেষ ৩০০ দিন।”
