বাজার অগ্নিমূল্য অথচ মোদির বিদেশ সফরের খরচের হিসেব নেই!

রবিবাসরীয় বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস আমজনতার। শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতেই রবিবারের সকালের বাজারটা গুছিয়ে করতে চান বেশিরভাগ মানুষ। তার উপর মাসপয়লা। কিন্তু সে আশায় ছাই দিয়ে বাজার অগ্নিমূল্য। রোজকার পেঁয়াজ, আদা, লঙ্কা, টমেটো ছুঁলে হাতে ফোসকা পড়ছে। যে দেশের এই হাল, সেখানকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আমেরিকা-মিশর (America-Missor) সফর করছেন। কত খরচ হচ্ছে তার জন্য? তার কোনও হিসেব নেই! তীব্র নিন্দা বিরোধীদের।

খরচকুলোতে যখন হিমশিম করদাতারা, তখন তাদের করের টাকায় বিদেশ ভ্রমণে ব্যস্ত নরেন্দ্র মোদির। আমেরিকা, মিশর সফর শেষ করে সদ্য ফিরেছেন তিনি। সেই ‘ভ্রমণের’ কত খরচ? জানা নেই কারও। কারণ, মোদির শেষ ১৬টি বিদেশ সফরের খরচের কোনও হিসেব দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।

কোভিডকালের আগে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণের খরচের হিসেব জানা যাচ্ছে। সেই অঙ্কটাও বিপুল- ৫৯৩ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২১ থেকে বাংলাদেশ, জাপান, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো ১৬টি দেশ সফর করেছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেখানে ঘোরার কোনও হিসেব প্রকাশ করেনি কেন্দ্র। এই তথ্য দিতে পারেনি খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO)। মোদির এই ১৬টি দেশ সফরের তালিকায় খরচের জায়গাটি তাদের ওয়েবসাইটে ফাঁকাই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণের সব খরচ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারাও এবিষয়ে কিছু জানায়নি। অথচ তার আগে পর্যন্ত ৫৯ বার বিদেশযাত্রার খরচ জানানো হয়েছে। ২০১৪-তে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আটবার আমেরিকা, পাঁচবার চিন, তিনবার ব্রিটেন, ছবার জার্মানি, পাঁচবার ফ্রান্স, সাতবার জাপান, চারবার সিঙ্গাপুর, দুবার ব্রাজিল ও বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন মোদি। এই সফরগুলিতে বিভিন্ন চুক্তিও করেছেন। দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি ব্যয় এই ভ্রমণের হিসেব কেন থাকবে না? প্রশ্ন তুলছে সব মহল। আর যদি হিসেব থাকে তাহলে তা প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না কেন? আমজনতার করের টাকায় খরচ কীভাবে হল তা জানার অধিকার রয়েছে করদাতাদের। যদিও এখনও পর্যন্ত এনিয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে কোনও আবেদন হয়নি কিন্তু দেশের মানুষ যখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে দৈনন্দিন খরচ কুলিয়ে উঠতে পারছেন না, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বিদেশ ভ্রমণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেন কীকরে? আর যদি সেটা দেশের স্বার্থ হয়ে থাকে তাহলে তাতে কত খরচ হয়েছে তা জানার অধিকারও দেশবাসীর রয়েছে বলে মত কূটনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন:উদ্বোধনের চারদিনের মাথায় কর্ণাটকে আ*ক্রান্ত বন্দে ভারত! ভাঙল জানালার কাঁচ


 

Previous articleউদ্বোধনের চারদিনের মাথায় কর্ণাটকে আ*ক্রান্ত বন্দে ভারত! ভাঙল জানালার কাঁচ
Next articleবিতর্কের মাঝেই গীতালদহে জখ*ম তৃণমূল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল