ওয়াগনার সৈনিকদের (Wagner Group) বিদ্রোহ ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় রাশিয়ায় (Russia)। ইউক্রেনের (Ukraine) বুকে রুশ আগ্রাসনের পর থেকে প্রাণপণে রুশ সেনাকে (Russian Soldier) ঠেকাতে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskly) দেশ ইউক্রেন। পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর থেকেই সবচেয়ে বড় বিদ্রোহের মুখে পড়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আর সেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে ‘ভাড়াটে সৈনিক’ ওয়াগনার গোষ্ঠী। এই পরিস্থিতিতে কার্যত বোমা ফাটালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন, ইউক্রেন সদ্য ২১ হাজার ওয়াগনার সৈনিককে হত্যা করেছে। আরও ৮০ হাজারকে খুব তাড়াতাড়ি নিকেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের বিদ্রোহ ঘোষণার সপ্তাহখানেক পরেই এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। শনিবার একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, আসলে দাগি আসামীদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ওয়াগনার বাহিনীতে পাঠানো হয়েছিল। রুশ সেনার মদতেই এই বাহিনী বেড়ে উঠেছে। তবে যুদ্ধের সময় যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়েছে ওয়াগনার। তারপরেই হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেন জেলেনস্কি। পাশাপাশি ওয়াগনার সৈনিকদের বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ওদের বেশিরভাগই দোষী, যাদের হারানোর কিছুই ছিল না। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই ২১ হাজার ওয়াগনার সৈন্য ইউক্রেনের সেনার হাতে মারা গিয়েছেন। এই সৈনিকদের রাশিয়ানদের দ্বারা ‘উদ্বুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করেছেন জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি আরও জানিয়েছেন, ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহ, যুদ্ধ ক্ষেত্রে রাশিয়ার শক্তিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। আর তা ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের জন্য উপকারী হতে পারে। এছাড়াও পুতিনের উদ্দেশে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, গোটা বিশ্ব পুতিনকে হত্যা করতে চায়।
