দেগঙ্গায় নি.হত তৃণমূল কর্মীর স্কুল পড়ুয়া ছেলে! ফোন করে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস রাজ্যপালের

বুধবার রাজভবন থেকেই নিহতের পরিবারের নম্বর জোগাড় করে নাবালকের বাবা ও কাকার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। কিশোর কী করত, কীভাবে ওই নাবালকের মৃত্যু হল তা ফোন করে জানতে চান রাজ্যপাল।

হাতে আর মাত্র কিছু সময়। তারপরই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। আর সেই নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের একাধিক প্রান্তে অশান্তির চেষ্টায় বিরোধীরা। এবার দেগঙ্গায় (Deganga) বোমাবাজির বলি এক স্কুল পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মীর (TMC) স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ এলাকা। ইতিমধ্যে, অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যেই বুধবার দেগঙ্গার ঘটনায় স্কুল ছাত্রর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose)। পাশাপাশি এদিন পরিবারের পাশে থাকারও বার্তা দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও এদিন আশ্বাস দেন রাজ্যপাল বোস। জানা গিয়েছে, এদিন নিহত কিশোরের বাবা ও কাকার সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। প্রয়োজনে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

এদিকে নিহত কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, রাজ্যপাল বলেছেন কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে জানাতে। যদি এখন প্রয়োজন পড়ে বলবে, তা না হলে মানসিক পরিস্থিতি ঠিক হলে পরে ফোন করে জানাতে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত দেগঙ্গা। এক তৃণমূল কর্মীর নাবালক ভাইপোকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির আইএসএফ (ISF), সিপিএমের (CPIM) দিকে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে নাবালকের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন রাজ্যপালও। জানা গিয়েছে, রাজভবন থেকেই নিহতের পরিবারের নম্বর জোগাড় করে নাবালকের বাবা ও কাকার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। কিশোর কী করত, কীভাবে ওই নাবালকের মৃত্যু হল তা ফোন করে জানতে চান রাজ্যপাল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সেরে মিছিল করে গ্রামে ফিরছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকরা। সেই সময় আইএসএফ কর্মীরা নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল করে যাচ্ছিল। ওইসময়েই তৃণমূল কর্মীদের মিছিল লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছোড়া হয়। সেখানেই ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমরান। বোমা এবং গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। তড়িঘড়ি তাকে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ইমরানের বাবা তৃণমূলের কর্মী। সেইজন্যই তাকে বোমা মেরে খুন করা হয়েছে।

 

 

Previous articleসম্মাননা নিতে এসে রাজ পরিবারের নিয়ম ভেঙে বিতর্কে ফেডেরার!
Next articleরবিনসন স্ট্রিটের ভ.য়ংকর স্মৃতি ফিরল আরামবাগে!