ভোটে দাঁড়ালেই পারতেন: রাজ্যপালকে ‘আনন্দরামজী বাপু’ কটাক্ষ কুণালের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের(panchayat election) শেষ লগ্নের প্রচার চলছে। আর এই সময় রাখঢাক ছেড়ে কার্যত বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস(CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে হিংসা ইসুতে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে আক্রমণ জানিয়েছেন। বিজেপি সুরে নকল ব্যালট ছাপানো অভিযোগ তুলেছে। এই ইস্যুতেই এবার রাজ্যপালকে বিজেপি এজেন্ট বলে তোপ দাগলো তৃণমূল। রীতিমতো কটাক্ষ করে রাজ্যপালকে আশারাম বাবুর সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

বৃহস্পতিবার রাজভবনে রাজ্যপালের সাংবাদিক বৈঠকের পর তাঁকে আক্রমণ শানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যপাল বিজেপি-র দালাল, বিজেপি-র এজেন্ট। রাজ্যপালের কিছু মনে হলে তিনি কমিশবকে চিঠি দিতে পারেন, রিপোর্ট পাঠাতে পারেন দিল্লিতে। তা না করে, ভোটের প্রচারের শেষ দিনে, সব দল যখন শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত, উনি বিজেপি-র হয়ে প্রচার করলেন। উনি যে রাজনীতি করছেন, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। উনি যে প্রবচন দিলেন আজ, তাতে আশারাম বাপুর মতো ওঁকে আনন্দরাম বাপু বলতে ইচ্ছে করছে। রাজনীতিই করছেন যখন, ভোটে দাঁড়ালেন না কেন?” একই সঙ্গে বলেন, “১১ জুলাইয়ের পর উনি মুখ দেখাতে পারবেন না। বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে তৈরি থাকুন।” এছাড়াও এদিন নিজের ফেসবুক পেজে রাজ্যপালের সঙ্গে আশারাম বাপুর ছবি শেয়ার করে কুণাল ঘোষ ক্যাপশনে লেখেন, “আনন্দরামজী বাপু”।

এছাড়াও রাজ্যপালকে তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন রাজ্যপাল। বিজেপি-র পদলেহন করছেন। আগের রেকর্ড দেখুন, দেখুন কী ছিল পরিস্থিতি, আর এখন কী। তৃণমূলের সরকার আসার পর দেড় লক্ষ মনোনয়ন দিতে পেরেছেন বিরোধীরা। আপনি বিজেপি-র ভাষায় কথা বলছেন। ধনকড়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছেন। ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন। আপনি ভাবছেন আপনিও বড় আসন পাবেন।”

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে আক্রমণ জানিয়েছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “আগুন নিয়ে খেলা চলছে, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা চলছে। মানুষের চোখের জল দেখেছি আমি। শিশুরা কাঁদছে। মানুষের রক্ত দিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা বন্ধ হোক।” একইসঙ্গে বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “মানুষ বলছেন, নকল ব্যালট পেপার ছাপা হচ্ছে, খতিয়ে দেখুন। দ্রোণাচার্য হয়ে উঠুন, অশ্বত্থামা হয়ে যাবেন না। বাংলার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। রাজধর্ম পালনের জন্য রাজ্যপাল এখানে বসে আছেন। নির্বাচন কমিশনার গ্রাউন্ড জিরোয় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন।”

Previous articleনির্বাচনের দিন কর্মীদের সবেতন ছুটি ঘোষণা রাজ্যের!
Next articleউচ্চমাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনে বাধ্যতামূলক আধার! জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি