রাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে সন্ময়ের সেম-সাইড! ভুলে গিয়েছেন কোন দলে!

বিজেপি নেতার মতে, তাঁর দলকেই এই দায় নিতে হবে! রাজনৈতিক মহলের মতে, চরম হতাশা থেকেই এই মন্তব্য করেছেন সন্ময়।

“রাজ্যপালকে যাঁরা নিয়োগ করেছেন তাঁদেরও এই মৃত্যুমিছিলের দায় নিতে হবে”- এই মন্তব্য কোনও তৃণমূল (TMC) বা অ-বিজেপি (BJP) নেতার নয়, খোদ তৎকাল বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sanmoy Benarjee) নিজের ফেসবুক (FaceBook) ওয়ালে এই পোস্ট করেছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই রাজ্যপালকে নিয়োগ করেছেন। তাহলে, বিজেপি নেতার মতে, তাঁর দলকেই এই দায় নিতে হবে! রাজনৈতিক মহলের মতে, চরম হতাশা থেকেই এই মন্তব্য করেছেন সন্ময়।

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কোন দলে? এই নিয়ে রীতিমতো কুইজ কনটেস্ট হতে পারে। বাম জমানায় নির্দল হিসেবে কাউন্সিলর। তার পরে তৃণমূল জমানায় কংগ্রেস। কংগ্রেস যখন বঙ্গে সাইনবোর্ড, তখন সন্ময় বিজেপি। অর্থাৎ স্রোতের বিপরীতে থেকে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা। এই কারণেই বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের বিরোধিতা করেন তিনি। কিন্তু বাংলার মানুষের সমস্যা নিয়ে তাঁকে কেউ কোনও দিন সরব হতে দেখেননি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঘটা করে বিজেপিতে যোগ দেন সন্ময়। কিন্তু গেরুয়া শিবিরে তেমন কল্কে পান না তিনি। বঙ্গ বিজেপির বড়-মেজো-ছোট কোনও নেতার সারিতেই তাঁকে কেউ গণ্য করেন না। ফলে সন্ময় চরম হতাশ!

পঞ্চায়েত ভোটে কমিশনের দরজায় লাথি মেরে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিউতি বাইট দেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদাররা। কিন্তু সন্ময়কে কেউ ডাকে না। তাই এবার সেম সাইড গোল করেই খবরের থাকার চেষ্টা তৎকাল বিজেপি নেতার। কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হলেও বিজেপি-র কেউ রাজ্যপালকে কাঠগড়ায় তোলেননি। উল্টে তাঁর অতিসক্রিয়তায় খুশি বঙ্গের গেরুয়া শিবির। সেখানে শুরু সিভি আনন্দ বোসকে (CV Anand Bose) কাঠগড়ায় তোলাই নয়, তাঁকে নিয়োগ করা মোদি সরকারকেও নিশানা করলেন সন্ময়। তাহলে কী ফের স্কোয়ার ওয়ানে অর্থাৎ নির্দলে ফিরবেন তিনি! এটাই এখন দেখার।