NABC এর তি.ক্ত অভিজ্ঞতা, ফোরাম তৈরি করে প্রতি.বাদের পথে বাংলার শিল্পী মহল!

বাংলার সঙ্গীত মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে যে এবার, বিদেশের মাটিতে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের যাতে আর হেন*স্থার সম্মুখীন না-হতে হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে ফোরাম তৈরির পথে কলকাতা।

নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনফারেন্স (NABC 2023) ২০২৩ – এ চূড়ান্ত অপমানিত বাঙালি শিল্পীরা। যদিও এর আগেও এই বঙ্গ সম্মেলন (Bengali Conference) নিয়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে, কিন্তু এবার যে তা সব সীমা অতিক্রম করেছে। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমের সৌজন্যে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Pt Ajay Chakraborty), শিল্পী জয়তী চক্রবর্তীর (Jayati Chakraborty)সঙ্গে কতটা দুর্ব্যবহার করা হয়েছে সেকথা সকলেই জেনে গেছেন। প্রত্যেক শিল্পীই যেমন এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। অনেকে তাঁদের সঙ্গে ঘটা তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাও প্রকাশ্যে এনেছেন। দীর্ঘদিনের ছাই চাপা আগুন এবার দাবানলের চেহারা নিয়েছে। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে বাংলার শিল্পী মহল, এবার একত্রিত হয়ে ফোরাম গঠনের পথে কলকাতা (Kolkata)।

বিদেশের মাটির এই বার্ষিক সম্মেলনের টুকরো-টুকরো খবর সমাজ মাধ্যম সূত্রে সকলের মোবাইল ফোনেই এসে গেছে। সংগীতশিল্পী জয়তী চক্রবর্তী মার্কিন মুলুক থেকে ঘটনার রাতেই ফেসবুক লাইভে(FB live)তাঁর অভিযোগের কথা তুলে ধরেছিলেন।কিছুক্ষণ পরেই একটু রাতে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীও জানান, তাঁকে কতটা দুর্বিপাকে পড়তে হয়েছিল। এসব দেখে প্রতিবাদ করেন লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মতো ‘বাংলার গর্ব’কেঅপমান করলে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সঙ্গীত শিল্পী পৌষালী। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের (Anindya Chatterjee) কথায় ” বিষয়টিকে আর লঘু করে দেখা হবে না।” এরপরেই খোলা চিঠিতে প্রতিবাদের সুস্পষ্ট ছবি ভাইরাল স্যোশালমিডিয়ায়। যেখানে তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, বিক্রম ঘোষ, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, লোপামুদ্রা মিত্র, ইমন চক্রবর্তী (Imon Chakraborty) , রূপম ইসলাম (Rupam Islam), দেবজ্যোতি মিশ্র, শ্রীজাত সহ একগুচ্ছ শিল্পী লেখেন,

“সুধী, উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলন’২৩, আটলান্টিক সিটিতে ঘটে যাওয়া কিছু অনভিপ্রেত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবাদপত্র। পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী, বিদ্বজ্জনের লাগাতার হেনস্থা এখন বঙ্গ সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণীয় এক অনুষ্ঠান। পূর্বের সম্মেলনগুলিতেও এমন উদাহরণ অসংখ্য। তবে এবারের সম্মেলন বোধহয় আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অব্যবস্থা, অসৌজন্য, অমার্জিত ব্যবহার, অসহযোগিতা শিল্পীদের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করে চলেছে ক্রমাগত, ভদ্রতাবোধকে দুর্বলতা ভেবে একের পর এক অপমানসূচক ঘটনা সম্মেলন কর্তারা ঘটিয়েই চলেছেন। অতিথি শব্দটার সঙ্গে যে বিশ্বজনীন আতিথ্যের সংযোগ, তা তারা ভুলতে বসেছেন। এই পরিস্থিতিতে, বাংলার সব শিল্পী আজ সিএবি’র যে কোনও অনুষ্ঠান নিয়ে চূড়ান্ত আতঙ্কিত, অপমানিত। তাই একজোট হয়ে আজ তীব্র প্রতিবাদ জানাই সিএবি’র স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে। অপমানের আকস্মিকতায় আমরা মূক ও স্তম্ভিত। ভবিষ্যতের কর্মপন্থা কী হবে, তা অচিরেই প্রকাশ করব আমরা। ধিক্কার জানাই সংগঠকদের যারা এই রুচিহীন সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। বঙ্গ সম্মেলনের জনপ্রিয়তা বিশিষ্ট স্বনামধন্য শিল্পীদের জন্য, অপদার্থ সংগঠকদের জন্য নয়, এ কথা যেন তারা বিস্মৃত না হন। সংস্কৃতি মঞ্চ আমাদের কাছে পবিত্র এক জানলা, তাকে নোংরা করার অধিকার আপনাদের কেউ দেয়নি। আমাদের শিল্পীজীবন আমাদের নিজস্ব, সেই আত্মসম্মানের জায়গায় কেউ হাত দিলে, সাবধান, গর্জে উঠবো।”

বাংলার সঙ্গীত মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে যে এবার, বিদেশের মাটিতে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের যাতে আর হেনস্থার সম্মুখীন না-হতে হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে ফোরাম তৈরির পথে কলকাতা।

 

 

Previous articleরাজ্যপালের নিয়োগ নিয়ে সন্ময়ের সেম-সাইড! ভুলে গিয়েছেন কোন দলে!
Next articleবিরোধীদের অশা.ন্তির অপচেষ্টা ব্যর্থ করে নির্বিঘ্নে ভোট দিল হুগলি