পঞ্চায়েত ভোট রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের, হারবে জেনে লাফাচ্ছেন অধীর: কুণাল

পঞ্চায়েত ভোটের দিন যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের আত্মীয়দের সৎকারের কাজেও সাহায্য করতে হবে। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর করা মামলায় এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠায় হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, নোডাল অফিসার হিসাবে যিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন সেই বিএসএফ-এর ডিজিকে একটি রিপোর্ট দিতে হবে। বুথের বাইরে কোথায় কোথায় অশান্তি হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে রিপোর্টে। এই রিপোর্ট জরুরি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।প্রধান বিচারপতি এদিন জানতে চেয়েছেন, যে বুথগুলিতে ব্যালট পোড়াতে দেখা গিয়েছে সেখানে পুনর্নির্বাচন হয়েছে কি না। সে বিষয়ে মঙ্গলবার আদালতে রিপোর্ট দেবে কমিশন। যারা ব্যালট বক্স জলে ফেলে দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের নির্দেশ, মঙ্গলবার গননা কেন্দ্রগুলির বাইরে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীদের ভিড় থাকবে না। রাজ্যকে হাইকোর্টের নির্দেশ, ভোটের দিন যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি ভাল চিকিৎসা করাতে হবে।মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতির আরও নির্দেশ, মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্ত করার সময় ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে, আর তার রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। মৃতদের সৎকারের সাহায্য করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। রাজ্য যে রিপোর্ট আদালতে জমা করবে, তার উপর ভিত্তি করে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, এফ আই আর করতে হবে ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে রাজ্যের কোনও সমস্যা নেই বলেও জানান তিনি।ভোটের দিন অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে অধীর মন্তব্য করেছেন, ‘গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে’।

অধীরের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কংগ্রেসের পায়ের তলায় মাটি নেই। শুধু বিজেপির দালালি করছেন অধীর চৌধুরী। এখন আদালতে গিয়ে নাটক করছেন। ভোট কাটার জন্য বিজেপিকে সাহায্য করছেন। এসব করে কিছু হবে না। হারবে জেনে লাফাচ্ছেন অধীর, সাফ কথা কুণালের।

আরও রড়ুন- বাইবেল থেকে শেলি- দিল্লিতে ফের ‘বাণী’ আওড়ালেন আনন্দ বোস!