তৃণমূলের দখলে ৫১ শতাংশ ভোট, দ্বিতীয় স্থানের দাবি বাম-কংগ্রেসের

একের পর এক ষড়যন্ত্র, দেশের কাছে বাংলাকে বদনাম করার আপ্রাণ চেষ্টা, এমনকি এজেন্সিকে কাজে লাগিয়েও পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামবাংলার রায় গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) পক্ষে। শতাংশের হিসেব বলছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayet Election) ৫১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস ও বামেদের জোট সঙ্গীদের মিলিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে তারা। এবং তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে বিজেপি(BJP)। যদিও দ্বিতীয় স্থানে কারা তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস(Left-Congress) জোটের মধ্যে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদের ২০টিই শাসকদলের দখলে। এর মধ্যে ৯টিতে বিরোধীরা একটি আসনও জেতেনি। একই অবস্থা গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতেও। মোট ২৫৪টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে তৃণমূলের দখলে ২৪২টি পঞ্চায়েত সমিতি। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ২,৬৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। বিজেপির দখলে ২২০টি। ত্রিশঙ্কু ২০৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত। আসন সংখ্যার পাশাপাশি শতাংশের হিসেব আরও চমকপ্রদ। সেখানে ৫১.১৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ প্রাধান‌্য তৃণমূলেরই। বিজেপি নেমেছে ২২.৮৮ শতাংশে। আপাত হিসেবে এটাই দ্বিতীয় স্থান হলেও এই দ্বিতীয় স্থানটি আবার দাবি করছে বাম-কংগ্রেস জোটও।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, পঞ্চায়েতে সিপিএম (CPIM) পেয়েছে ১২.৫৬ শতাংশ ভোট। তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেসের হাল আরও শোচনীয়, ঝুলিতে ৬.৪২ শতাংশ ভোট। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। এর সঙ্গে আইএসএফের ভোট যোগ করলে এবার জোটের ভোট বেড়ে ২১ শতাংশ হবে। তবে বাম সমর্থিত নির্দল এবং অন্য বাম শরিকগুলির ভোট যোগ করলে সেটা বিজেপিকে টপকে যাবে বলেই দাবি বাম শিবিরের। যদিও পঞ্চায়েতে অনেক ক্ষেত্রেই বাম এবং কংগ্রেস জোট ভুলে সরাসরি লড়াই করেছে বাম ও কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে লোকসভা নির্বাচনে সার্বিক জোট হলে বিজেপির তুলনায় ভাল ফল করার ব্যাপারে আশাবাদী বাম সমর্থকরা। তাঁরা বলছেন, বাংলার রাজনীতিতে বর্তমানে আসল বিরোধী শক্তি আসলে তারাই।