শুভেন্দুকে তুলো.ধনা, নন্দীগ্রামে ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফিরিয়ে শান্তির বার্তা তৃণমূল নেতৃত্বের

নন্দীগ্রামে গিয়ে শান্তির বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। শুক্রবার, দিনভর নন্দীগ্রামে ঘোরার পর সন্ধেয় পথসভা করে দলের কর্মী-সমর্থকদের সংযত থাকতে বললেন তৃণমূলের রাজ্য নেতারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে নন্দীগ্রাম এবং খেজুরিতে যাবতীয় অশান্তির জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করে অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানায় তৃণমূল। বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে টেঙ্গুয়ার জনসভায় তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে লোকসভা নির্বাচনে এখানে দাঁড়ান। গো-হারা হারবেন। এবারে ১০,৪৫৭ ভোটে পরাজয়তেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। গেরুয়া সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং তৃণমূলের এক মহিলা কর্মী সোমা জানাকে গাছে বেঁধে ৩ ঘণ্টা ধরে অত্যাচারের ঘটনায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় ধরনায় বসে যান মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ কথা দিলে ধরনা প্রত্যাহার করেন তাঁরা।

সেই সময় বিজেপির এক হামলাকারীকে দেখে উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা তাড়া করলে তাঁদের নিরস্ত করেন কুণাল। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।বিজেপির হাতে আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে শুক্রবার দুপুরের আগেই নন্দীগ্রামে পৌঁছে যান তৃণমূলের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা-রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং অন্যতম মুখপাত্র ঋজু দত্ত। তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এবং তমলুকের যুব তৃণমূল সভাপতি আসগর আলি পল্টু যোগ দেন তাঁদের সঙ্গে। নন্দীগ্রামের গেরুয়া তাণ্ডব-বিধ্বস্ত কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। ভেকুটিয়া গ্রামে গিয়ে লাঞ্ছিতা সোমা জানার হাতে দলের পক্ষ থেকে শাড়ি ও ওষুধ তুলে দেওয়া হয়।

তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কগ বলেন, বিরোধী দলনেতার সুপরিকল্পিত চক্রান্তে তাঁর লোকজনের তাণ্ডব এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এমএ পাশ করা তৃণমূলের বিজয়ী মহিলা প্রার্থীকেও ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে, তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে ওরা। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে গাছে বেঁধে রাখছে মহিলাকে। বিরোধী দলনেতার নামে জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়ে চালানো হচ্ছে অকথ্য অত্যাচার। অথচ গদ্দারের কথাতেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে তাঁর চক্রান্ত। গদ্দারের নির্লজ্জ মন্তব্য, ৩৫৫-র পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এর জন্য কিছু কিছু কাজও করতে হবে। কী করতে হবে আমরা জানি— এর থেকেই স্পষ্ট ওদের ষড়যন্ত্র। কুৎসিত রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ওদের দরকার মৃত্যু, রক্ত, মৃতদেহ। তৃণমূলকর্মীদের উপর লাগামছাড়া সন্ত্রাস তো ওরা চালাচ্ছেই, দরকারে নিজের দলের লোকেদের বলি দিতেও ওরা পিছুপা হচ্ছে না। তৃণমূল নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা, বন্ধ হোক গরিব মানুষের মধ্যে হানাহানি। ফিরে আসুক শান্তি। গ্রেফতার করা হোক দুষ্কৃতীদের।

আরও পড়ুন- বিজেপির সব বড় নেতারা নিজেদের জায়গাতেই হেরেছেন: তীব্র ক.টাক্ষ অভিষেকের

Previous articleবিজেপির সব বড় নেতারা নিজেদের জায়গাতেই হেরেছেন: তীব্র ক.টাক্ষ অভিষেকের
Next articleনিজের মনের মত ‘ঠিকানা’ খুঁজছেন? রইল সেই ঠিকানার খোঁজ, মার্লিন গ্রুপের ‘সেরেনিয়া’