Wednesday, December 3, 2025

সীমাকে ফেরত না পাঠালে ভারতে ২৬/১১-র মতো জঙ্গি হামলার হুমকি পাকিস্তানের

Date:

Share post:

মুম্বই ট্রাফিক কন্ট্রোলরুমে একটি হুমকি ফোন আসে। কলার, উর্দু ভাষায় বলে যে যদি আপনারা সীমা হায়দারকে পাকিস্তানে ফেরত না পাঠান, তাহলে ভারতে নাশকতা হবে। ২৬/১১-র মতো জঙ্গি হামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং এর পিছনে উত্তরপ্রদেশ সরকার দায়ী থাকবে। জানা গিয়েছে যে, এই কল ১২ জুলাই মুম্বাই পুলিশ কন্ট্রোল রুমে আসে। যার পরে এই ঘটনাটি এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। মুম্বই পুলিশ এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চে বিষয়ে তদন্ত করছে। এর আগেও মুম্বই পুলিশের কাছে এই ধরনের হুমকি ফোন এসেছে।

পাকিস্তানের সিন্ধ এলাকার জইশমাবাদ এলাকার বাসিন্দা সীমা। নথি অনুযায়ী তাঁর বিয়ে হয়েছে গুলাম হায়দার রাজার সঙ্গে ২০১৪ সালে। তাদের ৪টি বাচ্চা রয়েছে। ২০১৯-এ গুলাম হায়দার কাজের জন্য সৌদি আরব চলে যান। সেখান থেকে তিনি সীমাকে পয়সা পাঠাচ্ছিলেন। সীমার দাবি যে, ২০১৯ সালের পর হায়দার কখনও বাড়ি ফিরে আসেননি। এরই মধ্যে ২০২০ সালে সীমার বন্ধুত্ব হয় পিউবিজি গেমের মাধ্যমে। নয়ডার একটি গ্রাম এর বাসিন্দা শচীনের সঙ্গে দুজনের প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

১০ মার্চ তিনি নেপাল আসেন। সীমার দাবি যে তিনি নেপালের একটি মন্দিরে শচীনের সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি পাকিস্তান ফিরে যান। কিন্তু সীমা শচীনের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। এ কারণে ১০ মে তিনি নিজের ৪ বাচ্চাা নিয়ে করাচি থেকে আরব আমিরশাহীর শারজা পৌঁছান। এরপর সেখান থেকে তিনি ফ্লাইটে কাঠমান্ডু পৌঁছান। কাঠমান্ডু থেকে পোখরা একটি প্রাইভেট গাড়ি চড়ে পৌঁছান।

এরপরে পোখরা থেকে দিল্লি জন্য তিনি বাস নেন। রাস্তায় নয়ডাতে শচীন তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ১৩মে সীমা নয়ডা আসেন এবং সেখান থেকে শচীন তাকে রবপুরা এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে দুজনে ভাড়ার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। পুলিশ যখন এই বিষয়টি জানতে পারে, তারপর ৪  জুলাই দুজনকে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়। যদিও এখনও দুজনে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
করাচিতে পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় মিডিয়া সীমা এবং তার বাচ্চাদের কাহিনী সামনে আনে। তখন তারপরে সীমার স্বামীন গোলাম হায়দার সোশ্যাল মিডিয়াতে সৌদি আরব থেকে একটি আবেদন জারি করেন। এ নিয়ে সীমা হায়দর বলেন যে, তাঁর স্বামী ওভার অ্যাকটিং করছেন। যেরকম তাঁকে দেখা যাচ্ছে, সেরকম তিনি নন।
পাকিস্তানের জেকোবাবাদের বাসিন্দা গোলাম হায়দার এবং সীমা ঘটনাচক্রে সাক্ষাৎ করে ফেলেন। ভুল করে একটি রং নম্বর লেগে যায়। তিনি পড়ে সেই নম্বরে কল ব্যাক করলে তাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। এরপরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সীমার বাড়ি থেকে এই বিয়ের জন্য রাজি ছিলেন না। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে কোর্টে তাঁরা বিয়ে করে নেন। পালিয়ে বিয়ে করায় এলাকায় পঞ্চায়েতও বসেছিল। যেখানে গুলাম হায়দারকে জরিমানাও দিতে হয়।

 

spot_img

Related articles

SIR প্রক্রিয়া চলাকালীন ‘হেল্প ক্যাম্প’: কীভাবে সাহায্য পাবেন, বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

নির্বাচন কমিশনের চাপিয়ে দেওয়া এসআইআর প্রক্রিয়ার কারণে রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে ৩৯ জন মানুষের। এখনও ১৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।...

এসআইআর আতঙ্কে তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী গৃহবধূ! হাওড়ায় অসুস্থ বিএলও

এসআইআর সংক্রান্ত চাপে একই দিনে দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল রাজ্যে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ, অন্যদিকে...

স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্পে তিন সপ্তাহে পরিষেবা পেলেন এক লক্ষের বেশি মানুষ, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় আরও এক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করল স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্প। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রকল্পের শিবিরগুলিতে চিকিৎসা...

বাংলার পুলিশের ডিএসপি পদে যোগ রিচা ঘোষের: নাম লেখালেন দীপ্তির পাশে

নিয়োগ পত্র আগেই পেয়েছিলেন। বুধবার পুলিশের উর্দি পরে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন রিচা ঘোষ। না, এটা ক্রিকেটের জার্সিতে উইকেট...