জল্পনাই সত্যি হল। মোহনবাগান ছাড়লেন প্রীতম কোটাল। এদিন সরকারিভাবে একথা জানিয়ে দিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং প্রীতম নিজেই। গত মরশুমে প্রীতমের অধিনায়কত্বেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান।অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে সবুজ-মেরুনের সোয়াপ ডিল হচ্ছে, সেই অনুযায়ী, সাহাল আব্দুল সামাদ আসছেন মোহনবাগানে। আর সেই জল্পনাই সত্যি হল। প্রীতমের বিদায়ের দিনই পাঁচ বছরের চুক্তিতে বাগানে সই করলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। কেরালে যাচ্ছেন প্রীতম।
শুক্রবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রীতমের বিদায়ের খবর জানিয়ে দেয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাগান ছাড়াড় কথা জানান প্রীতম নিজেও। সবুজ-মেরুন সমর্থকরা যদিও এখনও মানতে পারছেন না প্রীতম তাদের দলে নেই। এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রীতম লেখেন,” কিচ্ছুটি থেমে থাকে না। পায়ে পায়ে পাড়ি দেয় অন্য কোথাও। তবুও ফেলে আসা সময়টুকু সাথে থেকে যায়। সেই সবুজ মেরুনের আবেগ, গ্যালারিতে সমর্থকদের চিৎকার, তাদের হাসি, তাদের চোখের জল, সতীর্থদের ভালোবাসা এগুলো না হয় জমা থাকুক আমার মনে। একসঙ্গে বেঁধে থাকা এতগুলো বছর। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নতুন করে পাওয়া। সবকিছুই আমার সঞ্চয়কে আরও পরিপূর্ণ করেছে। তবে আপাতত টান টান উত্তেজনা নিয়েই মোহনবাগান-এর হয়ে খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেছে। বলতে দ্বিধা নেই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে কী জানেন তো, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ে পা থেকে বলটা কাটানো যায় কিন্তু এই সবজু মেরুনের মায়াটা কাটানো সত্যি একটু কঠিন হয়ে যায়। সবাইকে অফুরন্ত ভালোবাসা। আবার দেখা হবে নতুন কোন একদিন।”
বাংলার এই ফুটবলারের কেরিয়ার শুরু হয় ২০১৩ সালে। সেই সময় প্রীতম ইন্ডিয়ান অ্যারোজ থেকে মোহনবাগানে সই করেন। সেই মরশুমেই সঞ্জয় সেনের কোচিং-এ আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। প্রীতমের অধিনায়কত্বেই গত মরশুমে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয় সবুজ মেরুন।
আরও পড়ুন:নিয়ম না মানার অভিযোগ, বিনেশ ফোগাটকে নোটিশ নাডার