ভোটের পরে স্কুল থেকে উধাও চেয়ার-টেবিল, টয়লেটের প্যান! ক্ষতিপূরণ চেয়ে তালিকা নবান্নে

কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিতে মিটেছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। ৬০হাজার বুথের মধ্যে ৬০-৬২টি বুথে (Booth) গোলমাল হয়। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতী আক্রমণের টার্গেট হয়েছে স্কুলের (School) বাড়ি। কারণ, স্কুলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ হয়। আর যে তালিকা জেলাশাসদকের তরফে নবান্ন জমা পড়েছে, তা বিষ্ময়কর। শুধু ভাঙচুর নয়, স্কুলভবন থেকে লুঠ হয়েছে বহু জিনিস। ওয়াশ বেসিন থেকে কল এমনকী, টয়লেটের প্যানও চুরির যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

পঞ্চায়েত ভোটের সময় উত্তেজনায় অনেক স্কুলেরই বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোথাও দরজা-জানালা ভেঙেছে, তো কোথাও ক্লাসরুমের টেবিল-চেয়ারের ভগ্নদশা। কোথাও আবার চেয়ার, টেবিল, ওয়াটার ফিল্টার, লোহার গেট, বাথরুমের লুঠে করে নিয়ে চলে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অনেক স্কুলে উধাও ওয়াশ বেসিন।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের কারণে কোনও স্কুলে ক্ষয়ক্ষতি হলে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কমিশনের তরফে জেলাগুলিতে নির্দেশ পাঠানো হয়। সেই মতো স্কুল শিক্ষা দফতর জেলাওয়াড়ি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের প্রাথমিক তালিকা পাঠিয়েছে নবান্নে।

শিক্ষা দফতরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। জেলা ১৩৫ টি স্কুলে ভাঙচুর হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে টিউব লাইট, ফ্যান, বাল্ব সব হাওয়া। নওদায় মালিত্য পাড়া স্কুলের তালিকা আরও চমকপ্রদ। সেখানে ৩টি জানালা, ২টি টেবিলের পাশাপাশি উধাও মিড মিলের রান্নার জন্য গ্যাসের সিলিন্ডার। এমনকী, বাথরুমের প্যান, মগ সব লুঠ করা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের পর ভাঙচুর হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের স্কুলগুলিতে। তালিকায় রয়েছে মালদহ, কোচবিহার ও হাওড়ার কয়েটি স্কুল। প্রাথমিক হিসাবে মোট ৩৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে নবান্নকে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।

 

Previous articleঅভিষেক আদালতকে অপমান করেননি, আক্ষেপ করেছেন মাত্র! যুক্তি দিয়ে ব্যখ্যা কুণালের
Next articleমিলেছে আরও তথ্য! এবার কেষ্টকে তিহারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই