দম থাকলে লোকসভায় মেদিনীপুরে শুভেন্দু নিজে লড়ুক, চ্যালেঞ্জ কুণালের

আমি চ্যালেঞ্জ করছি , দম থাকলে মেদিনীপুরে লোকসভায় নিজে দাঁড়িয়ে লড়াই করে দেখাক।

মানুষের ভোটে গো-হারা হওয়ার পর এসব দিবাস্বপ্ন দেখে কোনও লাভ নেই। বিজেপি নেতাদের রাজ্য সরকার পড়ে যাওয়ার মন্তব্য প্রসঙ্গে কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।

কুণাল এদিন বলেন,শুভেন্দু বলছেন লোকসভায় দেখে নেবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করছি , দম থাকলে মেদিনীপুরে লোকসভায় নিজে দাঁড়িয়ে লড়াই করে দেখাক।
রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা ক্যালেন্ডারের ব্যবসা করছেন। বছর বছর একের পর এক ডেট দেয়। ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ দিয়ে রাখে, আর অশ্বডিম্ব প্রসব করে। ক্যালেন্ডার ভিত্তিক রাজনীতি বিজেপির । মানুষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।
তার সাফ কথা, বিজেপির ভোটে লড়াই করার ক্ষমতা নেই। শুধুমাত্র পেছনের দরজা দিয়ে দিল্লির ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, এজেন্সি দিয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা এবং তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। যে নেতারা নিজেদের ওয়ার্ডে, বুথে জিততে পারে না, তারা নিজেদের দলের কর্মীদের প্রশ্ন থেকে বাঁচতে এইসব বলে বেড়াচ্ছে।
তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, অভিষেক গভীর আক্ষেপ থেকে কিছু কথা বলেছেন, কখনওই আদালতকে অসম্মান বা অবমাননা করে নয়। তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র । বলেন, অভিষেককে রাজনৈতিকভাবে না পেরে এজেন্সি দিয়ে বিজেপি বারবার ডিস্টার্ব করছে। অথচ বিজেপির দুষ্কৃতীরা একই জায়গা থেকে সুরক্ষা কবচ পেয়ে বেপরোভাবে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে, আক্রমণ করছে।
এদিন কুণাল প্রশ্ন তোলেন,‌ ৩৫৫ জারি করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু যা বলেছেন তার ভিডিও দেখার পর আদালত কেন তার বিরুদ্ধে সুয়োমোটো মামলা করবে না? আসলে হারের দিক থেকে নজর ঘোরাতে এসব ৩৫৫ ধুয়ো তুলছে।

এরা তৃণমূলকে আক্রমণ করছে। সব থেকে বেশি মারা যাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন । এদের মৃতদেহ চাই। মৃতদেহের সংখ্যা বাড়ানো যায় সেটাই টার্গেট। যাতে আদালতে গিয়ে দেখানো যায়। আসলে মৃতদেহের রাজনীতি করছে বিজেপি ।

 

Previous article৫ মাসে সরকার পড়বে: শান্তনুর ডেডলাইনের পাল্টা ‘ক্যালেন্ডার ব্যবসা’ কটাক্ষ তৃণমূলের
Next articleহিঙ্গলগঞ্জে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হা*মলা, আ*গুন লাগালো হল টোটোতে