Thursday, August 21, 2025

ফের ‘বিতর্কিত’ পোস্ট মনোরঞ্জন ব্যাপারীর, এবার কি রাজনৈতিক সন্ন্যাস!

Date:

Share post:

ফের বিতর্কিত বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manoranjan Byapari) ফেসবুক পোস্ট (FaceBook)। তাহলে কি এবার রাজনীতি ছাড়ছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক? না কি অন্য রাজনৈতিক দলে নাম লেখাবেন? এই নিয়েই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

ফেসবুক পোস্টে ঠিক কী লিখেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী? “পুরাতন সব কিছু ভুলে যেতে চাই। আমি কঠোর দরিদ্র জীবন দেখেছি প্রায় চল্লিশ বছর। শুধু জল খেয়ে পেটের যন্ত্রণা ভুলে থাকার সেই দিন গুলো আজও মনে পড়লে বুকে ব্যেথা মোচড় দিয়ে ওঠে।

সেই যে ছাগল গরু চড়ানো থেকে যে জীবন শুরু তারপর চায়ের দোকানে গেলাস ধোয়া, মুটে মজুরি রিকশা চালানো, ডোম সুইপার ট্রাকের খালাসি নাইট গার্ড রান্নার কাজ সেও করেছি অনেক বছর।তারপর ষ্টেশনের এক গুন্ডা – ছুরি চাকু বোম। নকশাল আন্দোলনে জড়িয়ে যাওয়া!অনেক বার জেল খাটা। মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া, বেঁচে থেকে মরে যাওয়া সেও ঘটেছে আমার জীবনে।

এরপর শুরু লেখক জীবন। বহু বছর ধরে ঘাড় গুজে লিখে যাওয়া। অনেক বই অনেক পুরস্কার! তারপর আবার সে সব ফেলে রাজনীতিতে আসা। বিধায়ক হয়ে যাওয়া।

সেই যে অলকা সারাওগী বলেছিলেন “এক জীবনের মধ্যেত দশ জীবন ” সেই জীবন যাপন করেছি আমি। নরকের শেষ ধাপ আমি যেমন দেখেছি আবার “স্বর্গের”সিড়ি বেয়েও এক দু ধাপ উঠতেও পেরেছি। ঘৃণা নিন্দা অপযশ যত জুটেছে সম পরিমাণ মান সন্মান ভালোবাসাও জুটেছে আমার “ভাগ্যেশ”!

সে ঘৃনা নিন্দা হোক আর মান সন্মান এতো বছরে যা পেয়েছি সব ভুলে যেতে চাই। আবার সব কিছু শুরু করতে চাই নতুন ভাবে নতুন কোনো পরিচয়ে। ফেলে আসা দিন গুলোর দিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না।

সেই যে কবি বলে গেছেন স্মৃতি খুড়ে বেদনা জাগাতে কে চায়! আমি আর স্মৃতি খুড়তে চাই না। আমি এক পথিক। হাটতে থাকা আমার ধর্ম। সামনের পথ ধূলি ধূসর। – আবছা। এখনো জানা নেই এই পথ আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে।” (বানান অপরিবর্তিত রেখে)

পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই বলাগড় বিধানসভার বিধায়কের একের পর এক স্যোশাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই বলতে শোনা যায় তাঁকে। তবে, তার মন্তব্য নিয়ে কোনও জবাব দেয়নি শাসকদল। ভোটের পরে আবার ফেসবুক পোস্ট মনোরঞ্জনের। নতুন ভাবে শুরু করতে চান আর নতুন পরিচয়ে। এই মন্তব্য নিয়ে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কারণ তিনি লিখেছেন, “ঘৃনা নিন্দা হোক আর মান সন্মান এতো বছরে যা পেয়েছি সব ভুলে যেতে চাই। আবার সব কিছু শুরু করতে চাই নতুন ভাবে নতুন কোনো পরিচয়ে। ফেলে আসা দিন গুলোর দিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না।” তহলে, কী রাজনীতি ছাড়ছেন, না কি দল! এর আগেও মনোরঞ্জন বলেনছিলেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নয়। তাহলে প্রশ্ন উঠছে এলেন কেন? নির্বাচনে লড়ে, বিধায়ক হওয়ার পরে, তাঁর এখন এই সব মনে হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধায়কের বিরুদ্ধেই ক্ষুব্ধ দলের একাংশ।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...