ফের ‘বিতর্কিত’ পোস্ট মনোরঞ্জন ব্যাপারীর, এবার কি রাজনৈতিক সন্ন্যাস!

ফের বিতর্কিত বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manoranjan Byapari) ফেসবুক পোস্ট (FaceBook)। তাহলে কি এবার রাজনীতি ছাড়ছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক? না কি অন্য রাজনৈতিক দলে নাম লেখাবেন? এই নিয়েই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

ফেসবুক পোস্টে ঠিক কী লিখেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী? “পুরাতন সব কিছু ভুলে যেতে চাই। আমি কঠোর দরিদ্র জীবন দেখেছি প্রায় চল্লিশ বছর। শুধু জল খেয়ে পেটের যন্ত্রণা ভুলে থাকার সেই দিন গুলো আজও মনে পড়লে বুকে ব্যেথা মোচড় দিয়ে ওঠে।

সেই যে ছাগল গরু চড়ানো থেকে যে জীবন শুরু তারপর চায়ের দোকানে গেলাস ধোয়া, মুটে মজুরি রিকশা চালানো, ডোম সুইপার ট্রাকের খালাসি নাইট গার্ড রান্নার কাজ সেও করেছি অনেক বছর।তারপর ষ্টেশনের এক গুন্ডা – ছুরি চাকু বোম। নকশাল আন্দোলনে জড়িয়ে যাওয়া!অনেক বার জেল খাটা। মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া, বেঁচে থেকে মরে যাওয়া সেও ঘটেছে আমার জীবনে।

এরপর শুরু লেখক জীবন। বহু বছর ধরে ঘাড় গুজে লিখে যাওয়া। অনেক বই অনেক পুরস্কার! তারপর আবার সে সব ফেলে রাজনীতিতে আসা। বিধায়ক হয়ে যাওয়া।

সেই যে অলকা সারাওগী বলেছিলেন “এক জীবনের মধ্যেত দশ জীবন ” সেই জীবন যাপন করেছি আমি। নরকের শেষ ধাপ আমি যেমন দেখেছি আবার “স্বর্গের”সিড়ি বেয়েও এক দু ধাপ উঠতেও পেরেছি। ঘৃণা নিন্দা অপযশ যত জুটেছে সম পরিমাণ মান সন্মান ভালোবাসাও জুটেছে আমার “ভাগ্যেশ”!

সে ঘৃনা নিন্দা হোক আর মান সন্মান এতো বছরে যা পেয়েছি সব ভুলে যেতে চাই। আবার সব কিছু শুরু করতে চাই নতুন ভাবে নতুন কোনো পরিচয়ে। ফেলে আসা দিন গুলোর দিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না।

সেই যে কবি বলে গেছেন স্মৃতি খুড়ে বেদনা জাগাতে কে চায়! আমি আর স্মৃতি খুড়তে চাই না। আমি এক পথিক। হাটতে থাকা আমার ধর্ম। সামনের পথ ধূলি ধূসর। – আবছা। এখনো জানা নেই এই পথ আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে।” (বানান অপরিবর্তিত রেখে)

পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই বলাগড় বিধানসভার বিধায়কের একের পর এক স্যোশাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই বলতে শোনা যায় তাঁকে। তবে, তার মন্তব্য নিয়ে কোনও জবাব দেয়নি শাসকদল। ভোটের পরে আবার ফেসবুক পোস্ট মনোরঞ্জনের। নতুন ভাবে শুরু করতে চান আর নতুন পরিচয়ে। এই মন্তব্য নিয়ে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কারণ তিনি লিখেছেন, “ঘৃনা নিন্দা হোক আর মান সন্মান এতো বছরে যা পেয়েছি সব ভুলে যেতে চাই। আবার সব কিছু শুরু করতে চাই নতুন ভাবে নতুন কোনো পরিচয়ে। ফেলে আসা দিন গুলোর দিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না।” তহলে, কী রাজনীতি ছাড়ছেন, না কি দল! এর আগেও মনোরঞ্জন বলেনছিলেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নয়। তাহলে প্রশ্ন উঠছে এলেন কেন? নির্বাচনে লড়ে, বিধায়ক হওয়ার পরে, তাঁর এখন এই সব মনে হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধায়কের বিরুদ্ধেই ক্ষুব্ধ দলের একাংশ।

 

 

 

 

Previous articleআয়ারল্যান্ড সিরিজে বিরাট-রোহিতদের পাশাপাশি বিশ্রাম দেওয়া হবে দ্রাবিড়কেও : সূত্র
Next articleমাঝ আকাশে যাত্রীর মোবাইলে বি.স্ফোরণ, তারপর…