Thursday, August 28, 2025

সবজির মূল্যবৃদ্ধির কারণ মুসলিমরা: বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কে হিমন্ত

Date:

Share post:

ফের একবার ধর্মীয় বিভাজন মূলক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himanta Biswa Sarma)। সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে সবজির ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরাসরি মুসলিমদের দায়ী করলেন তিনি। জানালেন, “যে সমস্ত বিক্রেতারা সবজির দর বাড়াচ্ছে এবং তাদের বেশিরভাগই মিঞা মুসলিম।” অসমের(Assam) মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন এআইএমআইএম সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি(Asaduddin Owaisi)।

বাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সবজির দাম আকাশ ছুয়েছে। এই ঘটনায় সরাসরি বিজেপি সরকারের দিকে উঠছে অভিযোগের আঙুল। এহেন পরিস্থিতিতে নিজের সরকারের উপর থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে মুসলিমদের উপর দোষ চাপিয়ে শনিবার হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “যারা সবজির দাম বাড়িয়েছে তারা কারা? তারা মুসলিম ব্যবসায়ী, যারা বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন। গুয়াহাটিতে ঈদের সময় যানবাহনের সমস্যা দেখা দেয় কেন? কারণ বাস-ক্যাবের অধিকাংশ চালকই মিঞা মুসলিম।” তিনি আরও বলেন, “ফ্লাইওভারের নিচের বাজারটি খালি করা হবে। এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রচুর শাক-সবজি-ফলের দোকান রয়েছে।” তবে হিমন্তের মুখে এধরনের মন্তব্য এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একইভাবে মুসলিমদের নিশানা করতে দেখা গিয়েছে হিমন্তকে। গত বছর তিনি একটি ‘মুসলিম মিউজিয়াম’ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, মিঞা জাদুঘরে ‘লুঙ্গি’ ছাড়া কিছুই নেই। আবার মূল‌্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই মুসলিম ব্যবসায়ীরা অসমের জনগণের কাছ থেকে বেশি দাম নেয়, গ্রামে গ্রামে কম দামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অসমিয়া হলে অসমের মানুষকে বেশি দামে সবজি কিনতে হত না। তিনি অসমের যুবকদের কাছে সবজি বিক্রি, বাস-ক্যাব চালানোর মতো কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আবেদন করেছেন।”

মুখ‌্যমন্ত্রী হিমন্তের এহেন মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেন, “এই দেশে এমন একটি দল ক্ষমতায় রয়েছে, তারা যদি তাদের মহিষ দুধ দিচ্ছে না অথবা মুরগি ডিম দিচ্ছে না তাহলেও তারা মুসলমানদের দায়ী করবে। তারা তাদের সকল ব্যর্থতার জন্যই মুসলিম সমাজকে দায়ী করবে।” এআইইউডিএফ সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে মুসলিমদের গুয়াহাটিতে শাকসবজি এবং মশলা বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। তিনি রাজ্যের প্রধান। তার মুখে এই ধরনের কথা শোভা পায় না। তিনি মুসলিম ও অসমিয়াদের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছেন। এরপর কোনও অঘটন ঘটলে তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী থাকবেন।”

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...