এক ছাতার তলায় বিরোধীরা: গদিচ্যুত হওয়ার ভয়ে ‘জোট’কে তোপ উদ্বিগ্ন মোদির

২৪-এর মহারণের রণকৌশল তৈরিতে এক জোট হয়েছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীশূন্য দেশ গঠনের লক্ষ্য এজেন্সি রাজনীতি(Agency Politics) চালিয়েও বিরোধীরা এককাট্টা হওয়ায় গদিরচ্যুত হওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। আর সেই আতঙ্কই ধরা পড়লো প্রধানমন্ত্রীর(Prime Minister) গলায়। চেনা ছকে ফের পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের(Opposition) বেলাগাম আক্রমণ শানালেন তিনি।

মঙ্গলবার পোর্ট ব্লেয়ারের বিমানবন্দর উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধীদের মহাজোটকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২০২৪ সালে বিজেপিকেই ভোট দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। সেটা বুঝতে পেরেই দেশের দুর্দশার জন্য দায়ী দলগুলি নতুন করে দোকান খুলেছেন, ২৪’এর জন্য ২৬টি দল একজোট হয়েছে। এদের দোকানে যা জিনিস মেলে, সেগুলি বানায় একজন আর লেবেলে থাকে অন্যজনের নাম। আসলে এই দোকানে গেলে ব্যাপক দুর্নীতি পাওয়া যাবেই, সেই গ্যারান্টি দিতেই বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসেছে দলগুলি।”

পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলেও বিরোধী দলগুলিকে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের আদর্শ হল বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল। কিন্তু এই দলগুলি পিপলের বদলে পরিবারকে গুরুত্ব দেয়। দেশের মানুষের চেয়ে পরিবারের উন্নতিই তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”

যদিও বিরোধীদের পাল্টা দাবি, প্রতিহিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে ব্যবহার করেছে মোদি সরকার। তারপরও বিশেষ কিছু সুবিধা করে উঠতে পারেনি। আর বিজেপির এই এজেন্সি রাজনীতি দেশের মানুষ ভালো করে বুঝে গিয়েছে। দুর্নীতির যে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী তুলেছেন, সেই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারার আজ বিজেপির সবচেয়ে বড় সম্পদ। আসলে এজেন্সির রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মত্ত মোদির লক্ষ্য দুর্নীতি বন্ধ করা নয়। বিজেপিতে ঢুকে তারা যাতে দুর্নীতি করে সেই পথ পরিষ্কার করা। পাশাপাশি পরিবারতন্ত্রের পাল্টা বিরোধীদের অভিযোগ, যে পরিবারতন্ত্র নিয়ে মোদি সরকার সরব, প্রধানমন্ত্রী নিজে খুঁজে দেখুন তাঁর দলে পরিবারবাদ ঠিক কতখানি শাখা প্রশাখা মেলেছে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পাটনায় (Patna) একবার বৈঠকে বসেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) দ্বিতীয় বৈঠক শুরুর আগে কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্স নিয়ে একমত হয়েছে আপ ও কংগ্রেস। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিরোধী জোট আরও শক্তিশালী হয়েছে বলেই অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। এহেন পরিস্থিতিতেই বিপাকে পড়ে বিরোধী জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী।

Previous articleঘনাচ্ছে দুর্যোগের মেঘ!মঙ্গলে হালকা বৃষ্টি বঙ্গে
Next articleআইন মেনে গার্লফ্রেন্ড ভাড়া! নয়া পরিষেবায় ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়