জোটের পরে প্রথম অধিবেশনে বিরোধীদের ইস্যু মণিপুর, টার্গেট শাহ

এক মাস পেরিয়ে গেলেও, হিংসা রক্তপাত থামেনি মণিপুরে। এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা।

নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি

I.N.D.I.A.- মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী জোটের নাম ঘোষণার পরে একুশ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু। আর প্রথম অধিবেশন থেকেই বিরোধী জোটের ঐক্য প্রমাণে সরব হবে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। জ্বলন্ত ইস্যু মণিপুর (Monipur)। সেই ইসুকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্র তথা মোদি সরকারকে বিঁধতে চাইছে বিরোধী জোট।

বুধবার মণিপুর গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধিদল। এবার সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই চেপে ধরতে চাইছে ২৬ দলের বিরোধী জোট INDIA। সূত্রের খবর, ২১ জুলাই সংসদের অধিবেশন বসতেই মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিবৃতি দাবি করে অধিবেশন অচল করে দিতে পারে বিরোধী শিবির। সেই সঙ্গে মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) ইস্তফাও চাইতে পারে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স।

বেঙ্গালুরুর বৈঠকের দিনেই বিরোধীদের কটাক্ষ করে লম্বা-চওড়া ভাষণ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। অথচ মনিপুর নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর মুখে একটি শব্দবন্ধও শোনা যায়নি। প্রায় একমাস আগে মণিপুর গিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, সেটা তাঁর জানা আছে। এক মাস পেরিয়ে গেলেও, হিংসা রক্তপাত থামেনি মণিপুরে। এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দলের তরফে অধিবেশনে আন্দোলনের রূপরেখার খসড়া তৈরি হয়েছে। ২১ জুলাই নিয়ে ব্যস্ত তৃণমূল। কিন্তু সূত্রের খবর, তারাও মনিপুরকেই হাতিয়ার করে সংসদে বিরোধী জোটের আওয়াজ চড়া করতে চাইছে। সে ক্ষেত্রে বাদল অধিবেশনে গর্জন-তর্জন যথেষ্ট হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।