যৌন হে.নস্তায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণের জা.মিনের বিরোধিতা করল না দিল্লি পুলিশ

আদালতের তরফে জানানো হয়, ব্রিজভূষণের মামলার রায় আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।

যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের জামিনের বিরোধিতা করল না দিল্লি পুলিশ। দুদিনের জামিন শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দেন অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ। তবে মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।

কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তা মামলায় জামিনের আবেদন করে বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে শুনানির জন্য হাজির হন ব্রিজভূষণ। আদালতের তরফে জানানো হয়, ব্রিজভূষণের মামলার রায় আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দিল্লি পুলিশের অবস্থানের দিকেও নজর রাখা হয়েছে আদালতের তরফে।

দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতিপ্রদর্শন), ৩৫৪ (নারীর শালীনতা নষ্ট করা), ৩৫৪ এ (যৌন হেনস্তা), ৩৫৪ ডি (নজরদারি) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, একটি ক্ষেত্রে বার বার করে হেনস্তা করেছিলেন ব্রিজভূষণ। ছ’টি মামলার দুটিতে ৩৫৪, ৩৫৩ এ এবং ৩৫৪ ডি ধারা আনায় মামলা করা হয়েছে এবং চারটি মামলায় ৩৫৪ এবং ৩৫৪ এ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে যন্তরে মন্তরে ধর্নায় বসেছিলেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটের মতো নামী কুস্তিগিররা। কিন্তু বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনও পদক্ষেপই করছিল না দিল্লি পুলিশ। উল্টে ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদক এনে দেওয়া অ্যাথলিটদেরই প্রতিবাদ স্থল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটক করা হয়। ক্ষোভে, দুঃখে এবং অপমানে সমস্ত পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার সংকল্প নেন পুনিয়া-সাক্ষীরা। যদিও কৃষক আন্দোলনের নেতারা এসে তাঁদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিরস্ত করেন।

এই সময় থেকেই গোটা দেশের নজরে আসে কুস্তিগিরদের মরিয়া লড়াই। আসরে নামেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কুস্তিগিরদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ক্রমাগত অস্বীকার করে এসেছেন ব্রিজভূষণ। শুধু তা-ই নয়, নামী কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ নিয়ে কুরুচিকর কটাক্ষ করতে দেখা যায় তাঁকে।

 

Previous articleচূড়ান্ত অব্যবস্থা ও সরকারের অসহযোগিতা: মণিপুর প্রসঙ্গে সরব তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
Next articleএই বর্ব.রতা মানবতার ল.জ্জা! মণিপুরের ন্যাক্কা.রজনক ঘটনায় তীব্র প্রতি.বাদ মমতার