সোমনাথ বিশ্বাস
মঞ্চ তৈরি। রাত পোহালেই তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের (21 July) সমাবেশ। শহিদ তর্পণ-এর পাশাপাশি আগামিদিনে দলকে রাজনীতির রোড ম্যাপ তৈরি করে দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফি বছরের মতো এ বছরও ধর্মতলায় প্রস্তুতি দেখতে বিকেলেই হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চের ওপর চেয়ার পেতে বসে পড়েন তিনি। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও। শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে গানের রিহার্সাল কেমন চলছে তা খতিয়ে দেখেন। একটা সময় হাতে গিটার তুলে নিয়ে একটু বাজানোর চেষ্টাও করেন সঙ্গীত প্রেমী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র-যুবদের সঙ্গে গলাও মেলান গানেও। মাটির ভাঁড়ে চা খেতে খেতে দলের সমস্ত প্রজন্মের নেতৃত্বের সঙ্গে প্রায় ঘন্টা দুই আড্ডা দিলেন।
এদিকে তৃণমূলের ২১ জুলাই সমাবেশ, তাকে ঘিরে গমগম করছে শহর। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্মতলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন সহ মন্ত্রী বিধায়ক নেতা-নেত্রীরা। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গেও নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বসে সকলের সঙ্গে মাটির ভাঁড়ে চা পানও করেন।
২১ জুলাই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের কাছে আবেগের দিন, উন্মাদনার দিন। সেই মতো বুধবার রাত থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছেন শহরে। তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করতে হয়েছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, কসবা গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক সহ বিভিন্ন জায়গায়। গতকাল এবং আজ ফের অস্থায়ী ক্যাম্পগুলি পরিদর্শন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের ২১ জুলাই শুধু ‘শহিদ দিবস’ হিসেবেই ন, ‘শ্রদ্ধা দিবস’ হিসেবেও পালন করছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার বলি হওয়া দলের কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।