আচমকা ব*জ্রপাতে রাজ্যে মৃ*ত্যু ৬ জনের

এদিন দুপুরে পুরুলিয়ার বরাবাজার থানা এলাকার বনডি গ্রামের মাঠে ক্রিকেট খেলা চলাকালীন বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। খেলা বন্ধ রেখে খেলোয়ার ও দর্শকরা মাঠের ধারে একটি ভাঙা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

আচমকা বজ্রপাতের জেরে মৃত্যুর ঘটনা এ রাজ্যে নতুন নয় । সেই বজ্রপাতের কারণে রাজ্যে মৃত্যু হল ৬ জনের। মৃতদের মধ্যে ৩ জন পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ জন পুরুলিয়া এবং ১ জন ময়নাগুড়ির বাসিন্দা। বাজ পড়ে পুরুলিয়ায় জখম হয়েছেন আরও ১০ জন। তাঁরা দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গিয়েছে,চাষের কাজ শেষে তিনজন বাড়ির ফিরতি পথ ধরেছিলেন তখন ব্যাপক বৃষ্টি নামে। সঙ্গে ঘন ঘন বজ্রপাতও হয়৷  বাড়ি যাওয়ার পথে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে একটি মাচার ভেতর আশ্রয় নেন তাঁরা সকলেই। সেই সময় ওই জায়গায় আচমকা একটি বজ্রপাত হয়।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।

বাজের আঘাতে গুরুতরভাবে আহত হন আরও ৫ জন। ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী শ্যামল জানা বলেন, “আমার বাড়িও ওই এলাকাতেই। বাজ পড়তেই ছুটে গিয়ে দেখি চারদিকে সকলে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে। দ্রুত আমরা ওদের উদ্ধার করি। তড়িঘড়ি ওদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে চিকিৎসকরা দেখা মাত্রই দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।”

মেদিনীপুরে কালো মেঘ ঘনিয়ে ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে দেখে পাঁচজন ঠাঁই নিয়েছিলেন আলের ধারে থাকা এক তালগাছের নিচে। আর সেটাই কাল হল তাদের।তালগাছে বাজ পড়ে মুহুর্তের মধ‌্যে মৃত‌্যু হল দুজনের। গুরুতর আহত আরও দুজন। তারা বর্তমানে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে মেদিনীপুর মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত দুজনের মধ‌্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশপুরের কলাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোলসোরাপোতা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব‌্যক্তি হলেন খোকন দোলই (৩৪) ও মমতা দোলই (৩০)।

এদিন দুপুরে পুরুলিয়ার বরাবাজার থানা এলাকার বনডি গ্রামের মাঠে ক্রিকেট খেলা চলাকালীন বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। খেলা বন্ধ রেখে খেলোয়ার ও দর্শকরা মাঠের ধারে একটি ভাঙা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম পালনি মুর্মু (৫৫), সজল প্রামানিক (১৮)। সজল খেলছিলেন। আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিন জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন কন্যা বাড়ির চাষি নীরেন্দ্রনাথ অধিকারী (৫০)। আচমকা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নীরেন্দ্রনাথবাবুকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

 

Previous articleপরিচালকের আঁতলামিতে বিরক্ত ঋদ্ধি, দেব-জিৎকে কী বলছেন অভিনেতা?
Next articleআইসিস যোগে গ্রেফতার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া