হিংসাদীর্ণ মণিপুর নিয়ে নীরব। কিন্তু বাংলা নিয়ে কুমীরের কান্না BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee)। শুক্রবার, ২১ জুলাই তৃণমূলের মহা সমাবেশে বিপুল জনসমাগম। খবরের সব আলো ধর্মতলায়। তা দেখে পালে হাওয়া টানার চেষ্টা বিজেপির। বিভিন্ন ব্লকে অবস্থানের ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তার কোনও প্রভাব পড়েনি রাজ্য রাজনীতিতে। এদিকে যখন বঙ্গ বিজেপি ব্যর্থ চেষ্টা, তখন দিল্লিতে কেঁদে কেঁদে ‘নাটক’ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুকান্ত মজুমদারদের (Sukanta Majumder)।
অগ্নিগর্ভ মণিপুরে (Manipur) দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে উত্তাল এদিন ধর্মতলার মঞ্চ থেকে এই নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার কোনও জবাব নেই বিজেপির কাছে। সেই কারণে, নাটক করে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বিজেপি সাংসদের। এদিন দিল্লির বিজেপি সদর দফতরের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বাংলার ভোটে মহিলাদের উপর সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে কেঁদে ভাসালেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট।
লকেটের অভিযোগ বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনায় আমাদের মহিলা কর্মীকে চুলের মুঠি ধরে টেনে গণনাকেন্দ্রের বাইরে টেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কিচ্ছু করতে পারিনি। শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম।“
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মণিপুরে তো বিজেপি রয়েছে ক্ষমতায়। সেখানে গেরুয়া শিবিরের ডবল ইঞ্জিনের ডঙ্কা কী হল! সেখানে কেন এই নারকীয় ঘটনা! ঘটনায় অভিযুক্ত ধরতে কেন ২ মাস সময় লাগল! তাও আবার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে সারাদেশে যখন ধিক্কার, নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সেই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেত্রীর চোখে জল কোথায়? বাংলায় কোনও ঘটনা ঘটলে, ফ্যাক্ট ফাইডিং টিম চলে আসে, কিন্তু মণিপুরে যায় না, হাথরাসে যায় না, সেখানকার গণধর্ষণ নিয়ে কোনও বিজেপি নেত্রী নিন্দাও করেন না। অথচ দিল্লিতে বসে বাংলাকে বদনাম করতে নাটুকে চোখের জন ফেলতে তাঁদের আটকায় না। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে নারী হিসেবে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে তো চোখের পাতা ভেজার উচিত ছিল লকেটের।
আরও পড়ুন- “পাঁচলাকাণ্ডে কোনও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ মেলেনি”: সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জবাব রাজ্য পুলিশের ডিজির