রবিবার সকাল থেকেই হাওড়া শাখায় দুর্ভোগের ছবি স্পষ্ট। বেলা বাড়তে ক্রমশ কমেছে ট্রেনের সংখ্যা। মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য একশ কুড়িটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া বর্ধমান শাখায় যে কটি হাতে গোনা ট্রেন চলছে তা গন্তব্যে পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের থেকে এক থেকে দেড় ঘন্টা বেশি সময় দিচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

শনিবারের পর রবিবারও চূড়ান্ত হয়রানি ছবিটা স্পষ্ট। শ্রাবণী মেলার কারণে কিছু স্পেশাল ট্রেন তারকেশ্বরের জন্য রাখা হয়েছে। কিন্তু তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে তাতে সাধারণ মানুষের প্রায় দম বন্ধ অবস্থা।

সিগন্যালের কাজের জন্য শনিবার ও রবিবার এই দুই দিন রেলের তরফ থেকে একাধিক ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ শনিবার কিছু ট্রেন চললেও রবিবারের অবস্থা আরও মারাত্মক। বেলা বাড়তেই ব্যান্ডেল – শ্রীরামপুর শাখায় শুধুই বাতিল ট্রেনের ঘোষণা শোনা গেছে। পাশপাশি বহু ট্রেনের যাত্রা পথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। শ্রাবণী মেলার কারণে নির্ধারিত তারকেশ্বর শেওড়াফুলি হাওড়া লোকালে অত্যধিক ভিড়ে বেশ কিছু যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ৪৫ মিনিট দেরিতে আসা ৩৭৩২৮ ডাউন তারকেশ্বর ট্রেনে উঠতে নসিবপুরের পর থেকে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভিড়ে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান কিছু মহিলা ও বয়স্ক যাত্রী। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হাওড়া মেন শাখার ট্রেন যাত্রীরা।ভিড়ে ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান কিছু মহিলা ও বয়স্ক যাত্রী। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হাওড়া মেন শাখার ট্রেন যাত্রীরা।
