বিভিন্ন সরকারি দফতরে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগের (Recruitment) সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা (Cabinet)। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর ও কর্মীবর্গ দফতরে বিপুল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠক শেষে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থির হয়েছে যে কলকাতা পুলিশে (Kolkata Police) নতুন আড়াই হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে। তিনি সাফ জানান, পুলিশের নিয়োগ বোর্ডের সাহায্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। পাশাপাশি কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার ছেলেমেয়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে এই বিষয়ে লিখিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত


- কলকাতা পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর ও কর্মীবর্গ দফতরে মোট ৮৫০০ কর্মী নিয়োগ
- কলকাতার মতো জেলায়-জেলায় সাংবাদিকদের জন্য হাউজিং সোসাইটি। ১০ কাঠা জমি বরাদ্দ
- মালদহে তৈরি হবে গ্রিন বেসড ডিস্টিলারি ও ইথানল। ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত
- ১৯ একর জমিতে দার্জিলিংয়ের নিউ চামটায় টি রিসর্ট। দার্জিলিং ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে জমি সমস্যার সমাধান
- আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ নজর। আগস্টে জেলায় জেলায় আদিবাসী দিবস পালন
এছাড়াও, স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে ৫৪৬৮ জনকে নিয়োগের প্রস্তাবেও রাজ্য মন্ত্রিসভা এদিন সম্মতি দিয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে হওয়ার কথা। অন্যদিকে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদে ৪০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। এবিষয়ে পিএসসি খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলে জানা গিয়েছে। তবে আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে এবার বাড়তি নজর দিতে চাইছে রাজ্য। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতীর্থদের জানিয়েছেন, আগামী অগাস্ট মাসেই আদিবাসী দিবস পালন করতে হবে। সবাইকে নিজের নিজের এলাকায় আদিবাসী দিবস পালনের নির্দেশ দেন মমতা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে সব মন্ত্রীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিজেপি নানারকম ভাবে রাজ্যে অশান্তির জন্য পরিকল্পনা করে ছক কষছে। এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

তবে এখানেই শেষ নয়। রাজ্যের যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বণিক সভাগুলির সাহায্য নিয়ে এই কাজে এগিয়ে এসেছে কারিগরি শিক্ষা দফতর। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে বিভিন্ন বণিক সভা এবং শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা সহ মোট ১৬ টি দফতরের সচিবদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার নবান্নে এই কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। বৈঠকে সব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে স্থির হয় কীভাবে মূল লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে রূপরেখা তৈরি হবে। পাশাপাশি বণিক সভাগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে তাদের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে কিভাবে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দিতে।

