সংসদে বিরোধী দলনেতার মাইক বন্ধ! ‘আত্মসম্মানে আঘাত’, ক্ষুব্ধ অপমানিত খাড়গে

সংসদের অন্দরে কথা বলতে দেওয়া হয় না বিরোধীদের। বারবার এই অভিযোগে সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী সাংসদরা। এমনকি বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস(Congress) সভাপতি রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। এবার সংসদের অন্দরে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যসভার(Rajya Sabha) বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে(Mallikarjun Kharge)। এত সময় দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় খাড়গের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই এই ইস্যুতে সরব হলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাজ্যসভায় মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে যখন সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের বিক্ষোভ চরমে, তখন বলতে দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতা খাড়গেকে। কিন্তু খাড়গে যখনই বলতে ওঠেন তখনই আবার পালটা বলা শুরু করেন রাজ্যসভার দলনেতা পীযুষ গোয়েল। মণিপুর-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বলতে গিয়ে বারবার বাধা পান খাড়গে। এমনকী, তাঁর মাইকও বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এই ইস্যুতেই বুধবার উত্তাল হয় রাজ্যসভা। এদিন ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা (T Shiva) খাড়গের মাইক বন্ধ করা ইস্যুটি নিয়ে চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, “সদনে দলনেতা এবং বিরোধী দলনেতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, অন্তত তাঁরা যখন বলেন, বাকিদের শান্ত হয়ে শোনা উচিত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। উলটে বিরোধী দলনেতার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”

চুপ থাকেননি মল্লিকার্জুন খাড়্গে নিজেও। কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন, এটা ব্যক্তিগতভাবে তাঁর অপমান। সেই সঙ্গে বিরোধী দলনেতার চেয়ারের অপমান। খাড়গে বলেন, “আমি নিজের ইস্যুগুলি সদনের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছিলাম। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি, সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু যখন আমি বলছি, তখন এভাবে আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল! সংসদে বলাটা আমার অধিকার। এটা আমার অধিকারে ধাক্কা। আমাকে অপমান করা হয়েছে। আমার আত্মসম্মানে আঘাত করা হয়েছে। এভাবে সরকারের ইশারায় যদি রাজ্যসভা চলে, তাহলে বুঝতে হবে গণতন্ত্র নেই।”