ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতেই গরিবির সংখ্যা বেশি! বলছে খোদ নীতি আয়োগের রিপোর্ট

পুষ্টি, স্কুলে উপস্থিতি, শিশু ও কিশোরের মৃত্যুহার, খাদ্য প্রস্তুতির জন্য জ্বালানি, স্বচ্ছতা, পানীয় জল সরবারহ, বিদ্যুৎ সংযোগের মতো ১২টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এই সমীক্ষায়

মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। জুমলা। নাটক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখে “গরিবি হটাও”-এর ডাক দিচ্ছেন, কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা। খোদ কেন্দ্রের নীতি আয়োগের রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির দুর্দশার ছবি। বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচকের নিরিখে (মাল্টি ডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স বা এমপিআই) যেসব রাজ্যে গরিবির হার ১০ শতাংশের বেশি, সেরকম ৮টি রাজ্য বিজেপি শাসিত তথাকথিত ডাবল ইঞ্জিন। এই রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও উন্নত জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত কমপক্ষে ১০ শতাংশের বেশি মানুষ। নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে। এবং সেই রিপোর্টেই স্পষ্ট, দেশ থেকে দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে যতটুকু সাফল্য এসেছে, তার সিংহভাগ কৃতিত্ব অবিজেপি দল শাসিত রাজ্যগুলির।

আরও পড়ুনঃ মণিপুর ইস্যুতে তপ্ত সংসদ, আজ কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ

বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক (এমপিআই) হল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান—এই তিনটি বিষয় মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতিটি রাজ্যে দারিদ্রের হার নির্ণয় করে নীতি আয়োগ। একেই বলা হয় এমপিআই। পুষ্টি, স্কুলে উপস্থিতি, শিশু ও কিশোরের মৃত্যুহার, খাদ্য প্রস্তুতির জন্য জ্বালানি, স্বচ্ছতা, পানীয় জল সরবারহ, বিদ্যুৎ সংযোগের মতো ১২টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এই সমীক্ষায়। সরকারি নীতি নির্ধারনের ক্ষেত্রে এই সূচক গুরুত্বপূর্ণ।


সেখানেই দেখা যাচ্ছে, সর্বাধিক দারিদ্র রয়েছে বিহারে (৩৩.৭৬ শতাংশ)। তারপর রয়েছে যথাক্রমে ঝড়খণ্ড (২৮.৮১ শতাংশ), মেঘালয় (২৭.৭৯ শতাংশ), উত্তরপ্রদেশ (২২.৯৩ শতাংশ), মধ্যপ্রদেশ (২০.৬৩ শতাংশ), অসম (১৯.৩৫ শতাংশ), ত্রিপুরা (১৩.১১ শতাংশ), নাগাল্যান্ড (১৫.৪৩ শতাংশ), অরুণাচল প্রদেশের (১৩.৭৬ শতাংশ) মতো রাজ্যগুলি। সেই জায়গায় পশ্চিমবঙ্গে দারিদ্রের হার ২১.২৯ শতাংশের থেকে কমে ২০১৯ থেকে ২০২১-র মধ্যে দাঁড়িয়েছে ১১.৮৯ শতাংশে। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের মতো অ-বিজেপি রাজ্যে বহুমাত্রিক দারিদ্রের হার ১০ শতাংশের নীচে নেমেছে।

Previous articleএক বছরের মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে চলেছে সিকিম সরকার
Next articleঅমর্ত্য সেনকে সমর্থন করায় শাস্তি বিশ্বভারতীর!সাসপেন্ড পড়ুয়াকে